ক্ষতিকারক রাসায়নিক সার ও রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে অভিনভ উদ্যোগ কৃষি দপ্তরের। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের ৪নং বোয়ালদাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ফুলঘরা ও পার্বতীপুর ২টি গ্রামকে জৈব গ্রাম গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে কৃষকদের প্রশিক্ষণ চলছে বর্তমানে জোড়কদমে। ৩০ একর জমির জন্য ঐ দুটি গ্রামের ৪০ জন কৃষককে নিয়ে চলছে এই কর্মকান্ড। জানা গেছে এই প্রশিক্ষণে কৃষকদের হাতে কলমে জৈব সার তৈরীর পাশাপাশি জৈব কীটনাশক তৈরীর প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে কৃষকদের এই জৈব কীটনাশক তৈরী করা হচ্ছে গ্রামে সহজেই উপলব্ধ গোমুত্র, নিম পাতা, বন কাঠাল, পেয়ারা পাতা প্রভৃতি দিয়ে। প্রথমে উপকরণগুলিকে কুচি কুচি করে কেটে থেথো করে রস করে সেদ্ধ করে গাছে স্প্রে করার কীটনাশক প্রস্তত করার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। উল্লেখ বোয়ালদাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে মূলত সবজি চাষের প্রচলন বেশী। ফলে সবজি চাষে রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহারও তুলনামূলক হয় বেশী। কৃষি দপ্তর সূত্রে খবর এই অঞ্চলের কৃষকরা চাষাবাসে জৈব সার এবং জৈব কীটনাশক ব্যবহার শুরু করলে একদিকে যেমন পরিবেশ বান্ধব সার ও কীটনাশক ব্যবহার যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি জৈব সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের আর্থিক খরচও কম হবে।
যার জেরেই বর্তমানে ঐ দুটি গ্রামের কৃষকদের মধ্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণে ব্যপক সাড়া পড়েছে। প্রশিক্ষণ গ্রহণকারী কৃষক বসুধারঞ্জন সরকার বলেন কৃষি দপ্তরের উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানাই। অপরদিকে বালুরঘাট ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা তনয় সাহা এই বিষয়ে জানিয়েছেন যে কোন ফসলের ক্ষেত্রেই এই জৈব কীটনাশকগুলি কাজ করবে। তিনি বলেন আমরা চেষ্টা করছি জৈব কীটনাশকের ব্যবহার বাড়াতে এবং রাসায়নিক কীটনাশকের ব্যবহার কমাতে।
আরও পড়ুন – পঞ্চায়েত ভোটে রক্তের বদলে ঝরবে রক্ত, হুঁশিয়ারি দেবদাস মন্ডলের
তিনি বলেন, আমরা জেলার রেলমানচিত্র নিয়ে চিন্তিত। তাই রেলমন্ত্রককে লিখিত ভাবে কিছু প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। রেলমন্ত্রক আমার প্রস্তাব গুলো নিয়ে ভাবছে বলেই তারা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে। এদিকে, প্রবীন নাগরিকদের ভাড়ায় ছাড়, রায়গঞ্জ শহরে উড়ালপুল নির্মান, ডাবল লাইন চালু সহ একাধিক দাবি কেন সাংসদ তোলেননি, সেই প্রশ্ন ছুড়েছেন জেলা তৃনমুলের একাধিক নেতৃত্ব। ক্ষতিকারক