কলকাতা – কর্মীদের ক্ষোভের মাঝেই শেষ হলো আলিপুর চিড়িয়াখানার দেড়শো বছরের সমাপ্তি অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে খাওয়াদাওয়া বয়কট করেন নিচুতলার কর্মীরা। অনুষ্ঠান শেষে তাঁরা বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার কাছে নয়া অধিকর্তা তৃপ্তি শাহকে নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। চিড়িয়াখানার একাংশের আশঙ্কা, কর্মীদের এই ক্ষোভের প্রভাব পশুপাখিদের যত্নআত্তির উপরও পড়তে পারে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন বনমন্ত্রীও।
দেড়শো বছর পূর্তি উপলক্ষে এদিন ডাকটিকিট চালু করা হয়, সঙ্গে উদ্বোধন হয় ডিজিটাল লাইব্রেরি। ২০২৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আলিপুর চিড়িয়াখানা ১৫০ বছরে পা দিয়েছিল। সেবার কর্মীরা সকলে অনুষ্ঠান অংশ নিয়েছিলেন। তবে এ বছরের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে পরিস্থিতি ভিন্ন। গত আগস্টে অধিকর্তার পদে আসেন তৃপ্তি শাহ, আর তাঁকেই কেন্দ্র করেই কর্মীদের ক্ষোভ।
কর্মীদের অভিযোগ, তাঁরা সারাবছর চিড়িয়াখানায় পরিষেবা দিয়ে যান—আবাসিক প্রাণীদের দেখভাল থেকে দর্শকদের সামলানো, সবটাই তাঁদের দায়িত্ব। গত বছরের মতো এবারে তাঁদের এবং ইউনিয়নকে সমাপ্তি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোয় ক্ষুব্ধ হন তাঁরা। পাশাপাশি অভিযোগ উঠেছে, নতুন অধিকর্তা কর্মীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন, হঠাৎ করেই তাঁদের কাজ থেকে সরিয়ে দিচ্ছেন।
ফলত, বুধবার কর্মীরা পরিষেবা দিলেও অনুষ্ঠানের ভোজে অংশ নেননি। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বনমন্ত্রীর কাছে তাঁরা সরাসরি ক্ষোভ উগরে দেন তৃপ্তি শাহর বিরুদ্ধে। বনমন্ত্রী অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন। এতে কিছুটা আশ্বস্ত কর্মীরা, তবে তাঁদের দাবি, ক্ষোভ থাকলেও তা যেন পশুপাখির যত্নে কোনও প্রভাব না ফেলে।
