হুগলি – হুগলির খানাকুলে জনরোষের মুখে পড়লেন খোদ তৃণমূলের অঞ্চল সহসভাপতি বরুণ মণ্ডল। অভিযোগ উঠেছে, মদ্যপ অবস্থায় মহিলাদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সেই কারণেই তাঁকে গণধোলাই দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, বরুণ মণ্ডলকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আক্রমণ করেছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
শুক্রবার রাতে ঘটনাকে ঘিরে খানাকুলের মাড়োখানা এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। আহত তৃণমূল নেতাকে দ্রুত খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তৃণমূল শিবিরের বক্তব্য, বরুণ মণ্ডলকে এলাকার সক্রিয় কর্মী হওয়ার অপরাধেই নিশানা করা হয়েছে। এমনকি তাদের অভিযোগ, বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষের নির্দেশেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
অন্যদিকে, বিজেপির দাবি ভিন্ন। তাদের অভিযোগ, স্থানীয় মহিলাদের উপর মদ্যপ অবস্থায় শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেছিলেন বরুণ মণ্ডল। এমনকি কয়েকজন নাবালিকাও অভিযোগ করেছেন, তাঁদের চুল ধরে টেনে নির্যাতন চালানো হয়েছিল। সেই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই ক্ষুব্ধ জনতা বরুণ মণ্ডলকে মারধর করে।
আহত তৃণমূল নেতা অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি বাড়ি ফিরছিলাম। হঠাৎ করে আমাকে ঘিরে ধরে মারধর করা হয়। কারা মেরেছে চিনতে পারিনি। কিছু মহিলাকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করানো হয়েছে।”
পুজোর পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে খানাকুলের পরিস্থিতি। দুই পক্ষই রাস্তায় নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে এবং থানায় অভিযোগ জানিয়েছে। বর্তমানে ঘটনাটি তদন্ত করছে পুলিশ।
