অশোকনগরে খাল পরিদর্শন করে যা বললেন বিধায়ক ও পুরপ্রধান। অশোকনগর শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড প্রতিবছর বর্ষার জলে জলমগ্ন হয়ে পরে । স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকার নিকাশির ব্যবস্থা নিয়ে প্রশাসনকে কাটগড়ায় তোলেন । গতবছর বিধানসভা নির্বাচনের পর বর্ষার জলে অশোকনগরের কল্যাণগড় পুরসভার ২,৯,১৭,২২ ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেশ কয়েকটি জায়গা বর্ষার জলে প্লাবিত হয় ।তখন পুরসভা পাশাপাশি অশোকনগরের নবনির্বাচিত বিধায়ক নারায়ন গোস্বামীর কাছে এলাকার বাসিন্দারা স্থানীয় পদ্মা নালা সংস্কারের দাবি জানায় ।
সম্প্রতি এই নালা সংস্কারের জন্য রাজ্য সরকারের তরফে ৪৪ লক্ষ্য টাকা অনুমোদন দেওয়া হয় ।মঙ্গলবার অশোকনগরের শরৎনগর, তরুণপল্লী, নিউ সুভাষপল্লী, সহ বেশ কিছু এলাকা অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ন গোস্বামী পুরসভার চেয়ারম্যান প্রবোধ সরকার সহ পুরসভার কয়েকজন কাউন্সিলর ও এলাকার দায়িত্বে থাকা বি.এল.আর.ও এবং অশোকনগর থানার ওসিকে সঙ্গে নিয়ে পদ্মা নালা (একসময়ের পদ্মা খাল বর্তমানে নালার রূপ নিয়েছে) পরিদর্শন করেন ।
আর ও পড়ুন শিলিগুড়িতে তৈরি হতে চলেছে বাইচুং ভুটিয়ার ফুটবল একাডেমি
নিকাশির ব্যবস্থার পাশাপাশি বেশ কয়েক জায়গায় খালের উপর অবৈধ নির্মাণ গড়ে উঠেছে সেগুলো সরিয়ে ফেলা হবে বলে জানান বিধায়ক নারায়ন গোস্বামী । এদিন বিধায়ককে অবৈধ নির্মাণকারীদের নির্মান সরিয়ে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করতে দেখা যায় ।বিধায়ক জানায় খালের উপর অবৈধ নির্মাণকারীদের একটি তালিকা তৈরি করে অবৈধ দখলদার সরিয়ে নেওয়ার জন্য চিঠি করা হবে । সিপিএমের দিকে আঙুল তুলে নারায়ন গোস্বামী এদিন অভিযোগ করেন বাম আমলে এই অবৈধ নির্মাণের ঘটনা ঘটেছে। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএম নেতা সত্যসেবী কর জানান তাদের আমলে কোন অবৈধ নির্মাণ হয়নি, বরঞ্চ নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি হয়েছে ।