বিহারে খুন মালদার পরিযায়ী শ্রমিক

বিহারে খুন মালদার পরিযায়ী শ্রমিক

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
খুন

বিহারে খুন মালদার পরিযায়ী শ্রমিক। বিহারে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের এক পরিযায়ী শ্রমিকের। গুলি করে খুন করা হল তাঁকে। মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুরের কাওয়ামারী গ্রামের শামীম আক্তার এলাকায় জামাল নামেই পরিচিত ছিলেন। বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী, কন্যা সন্তান এবং বৃদ্ধা মা।

 

ঘটনার খবর পেয়ে আসেন এলাকার বিধায়ক তজমুল হোসেন এবং মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান। আর্থিক দিক থেকে শুরু করে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন বিধায়ক তজমুল। সঙ্গে তিনি জানান দোষীদের শাস্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। বিজেপি শাসিত রাজ্যে আইনের শাসন নেই বলে সরব হয় বিধায়ক তজমুল। পাল্টা বিজেপির জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া বলেন,” ঘটনাটি শুনতে পেয়েছি। খুব দুঃখজনক। তবে মূল কথা এই রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই। তাই এখানকার ছেলেকে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যেতে হচ্ছে।

 

এদিকে পরিযায়ী শ্রমিককে মৃত্যুর খবর মালদার হরিশ্চন্দ্রপুরের বাড়িতে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। অভাবের সংসার। হরিশ্চন্দ্রপুরে গাড়ি চালাত সে। কিন্তু রোজগারের জন্য পাটনার কারমালি চক বাই পাস আস্তানা এলাকায় যায় পাইপ পুশিং এর কাজ করতে। সাথে আশেপাশের এলাকার আরও কয়েকজন ছিল। কাজ চলছিল এবং বাড়ির সাথেও কথা হতো। তিনদিন পর তার বাড়ি ফেরার কথা ছিল। বিপত্তি ঘটল গতকাল রাতে কাজ থেকে ফেরার সময় কেউ বা কারা শামীমকে গুলি করে।

 

জানা যায় তার শরীরে তিনটি গুলি লেগেছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়। এই খবর বাড়িতে আসতেই শোকস্তব্ধ পরিবার। কারা তাকে খুন করল বুঝতে পারছে না পরিবারের লোকজন। তবে যারাই করুক তাদের যাতে কঠোরতম শাস্তি হয় সেই দাবি জানাচ্ছে শামীমের মা,ভাই,স্ত্রী সকলেই।

 

বিহারে কাজ করতে গিয়ে গুলি করে খুন করা হলো বাংলার পরিযায়ী শ্রমিককে। মৃত্যুর খবর বাড়িতে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়ল পরিবার। পরিবারের সঙ্গে দেখা করে গেলেন স্থানীয় বিধায়ক তজমুল হোসেন। দিলেন সাহায্যের আশ্বাস। সঙ্গে বিজেপি শাসিত রাজ্য বিহারের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে সরব হলেন তিনি। পাল্টা রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই বলে কটাক্ষ বিজেপির। মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুরের কাওয়ামারী গ্রামের শামীম আক্তার। এলাকায় জামাল নামেই পরিচিত। বাড়িতে সে ছাড়াও তিন ভাই এবং এক বোন। রয়েছে স্ত্রী, কন্যা সন্তান এবং বৃদ্ধা মা। অভাবের সংসার। হরিশ্চন্দ্রপুরে বোলারো গাড়ি চালাত সে। কিন্তু লকডাউনে তেমন ভাবে ভাড়া না পাওয়াই বিহারের পাটনার কারমালি চক বাই পাস আস্তানা এলাকায় যায় পাইপ পুশিং এর কাজ করতে। সাথে আশে পাশের এলাকার আরও কয়েকজন ছিল। কাজ চলছিল এবং বাড়ির সাথেও কথা হতো। তিনদিন পর তার বাড়ি ফেরার কথা ছিল।

 

কিন্তু আর ফেরা হলো না। বিপত্তি ঘটল গতকাল রাত্রে। কাজ থেকে ফেরার সময় কেউ বা কারা শামীম কে গুলি করে। জানা যায় তার শরীরে তিনটি গুলি লেগেছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়। এই খবর বাড়িতে আসতেই শোকে বিহল হয়ে পরে পরিবার। পরিবার সূত্রে জানা যায় শামীম অত্যন্ত শান্ত স্বভাবের ছেলে ছিল। কোন কারণ নিয়ে তার সাথে কারো ঝামেলা ছিল না। তাই কারা তাকে খুন করল বুঝতে পারছে না পরিবারের লোকজন। তবে যারাই করুক তাদের যাতে কঠোরতম শাস্তি হয় সেই দাবি জানাচ্ছে শামীমের মা,ভাই,স্ত্রী সকলেই। সাথে এই মুহূর্তে অভাবের সংসার চলবে কি করে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছে তারা।

 

আর ও   পড়ুন  করোনায় আক্রান্ত বাবুল সুপ্রিয়, আক্রান্ত তাঁর স্ত্রী-বাবাও 

 

এদিকে খবর পেতেই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে ছুটে আসেন এলাকার বিধায়ক তজমুল হোসেন এবং মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খান। আর্থিক দিক থেকে শুরু করে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দেন বিধায়ক তজমুল। সঙ্গে তিনি জানান দোষীদের শাস্তির জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। বিজেপি শাসিত রাজ্যে আইনের শাসন নেই বলে সরব হয় বিধায়ক তজমুল। এই অসহায় দরিদ্র পরিবারের আবাস যোজনার ঘর মেলেনি। সেই প্রসঙ্গেও বিধায়ক আশ্বাস দেন যাতে তারা পরবর্তীতে ঘর পায় সেই ব্যাপারে দেখবেন।

 

মৃতের ভাই মাহাবুব আলম বলেন,” দাদা খুব ভালো এবং শান্ত স্বভাবের কারোর সঙ্গে ঝামেলা ছিল না। গতকাল ফোন আছে আমার দাদা কাল থেকে ফেরার সময় ছিনতাই হয়েছে এবং তাকে মারধর করা হয়েছে। খবর শুনে আমরা গাড়ি নিয়ে রওনা দিই। তারপর ফোন আসে তাকে গুলি করে মারা হয়েছে। যারা করেছে তাদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”

 

শোকে পাথর হয়ে পড়েছেন মা রাহেলা বেওয়া। তিনি বলেন,” পরশুদিন ছেলের সাথে কথা হয়েছিল। কারোর সঙ্গে আমার ছেলের কিছু ছিল না। বুঝতে পারছি না কারা এরকম করলো। দোষীদের শাস্তি চাইছি। আর আমার বৌমাকে এবং নাতনিকে কিভাবে খাওয়াবো? সরকার যাতে আমাদের একটু সাহায্য করে।স্ত্রী শাহানারা খাতুন বলেন,” ১৮ দিন আগে আমার স্বামী কাজ করতে গেছিল। তিনদিন পরে আসার কথা ছিল। কিন্তু তার মাঝে এরকম ঘটনা ঘটে গেল। আমার এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ”

 

হরিশ্চন্দ্রপুর বিধায়ক তজমুল হোসেন বলেন,” খবর পেয়ে আমি পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে আসি। আমরা সব রকম ভাবে পরিবারের পাশে আছি। যেহেতু ঘটনাটা ভিন রাজ্যে ঘটেছে তাই দোষীদের শাস্তির জন্য আমি মুখ্যমন্ত্রীর সাথে কথা বলবো। এই ঘটনা থেকে বোঝা যাচ্ছে বিজেপি শাসিত রাজ্যে কোন আইন শাসন নেই।”এই নিয়ে পাল্টা বিজেপির জেলা সম্পাদক কিষান কেডিয়া বলেন,” ঘটনাটি শুনতে পেয়েছি। খুব দুঃখজনক। তবে মূল কথা এই রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই। তাই এখানকার ছেলেকে ভিন রাজ্যে কাজ করতে যেতে হচ্ছে।

 

পেটের দায়ে একজন কাজ করতে গেছিল ঘর ছেড়ে অন্য রাজ্যে। সেখানে এই ভাবে মৃত্যু হল তার। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা কাম্য নয়। প্রশাসনের উচিত সব রকম ভাবে ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ানো। সাথে বিহার সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ঘটনার তদন্ত করা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top