অভিরামপুর মানকর সংলগ্ন এলাকায় খেজুর রসের সন্ধানে অস্থায়ী ঘর বেঁধেছেন পাসিরা

অভিরামপুর মানকর সংলগ্ন এলাকায় খেজুর রসের সন্ধানে অস্থায়ী ঘর বেঁধেছেন পাসিরা

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
খেজুর

অভিরামপুর মানকর সংলগ্ন এলাকায় খেজুর রসের সন্ধানে অস্থায়ী ঘর বেঁধেছেন পাসিরা । নরেন্দ্রনাথ মিত্রের বিখ্যাত গল্প ‘ রস’ এবং সিনেমার জগতে বিখ্যাত ছবি “সওদাগর” যেখানে বিগ বি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন ও অভিনেত্রী নুতন তাল “রস” অর্থাৎ পাসির অভিনয় করছেন। আর যারা বাস্তবে খেজুরগাছ কেটে রস বের করেন সেই পাসিদের জীবন আর রসের ভিয়েন চিত্রিত এই গল্পে।এই গল্প নিয়ে অনেক নাটক সিনেমা হয়েছে।হিন্দিতে এই গল্প নিয়ে নুতন আর অমিতাভ বচ্চনকে নিয়ে তৈরি হয় ‘ সওদাগর’।

 

এই ছবিতে পাসির ভূমিকায় অভিনয় করেই জাতীয় পুরস্কার পান অমিতাভ বচ্চন। রসের রসিক হয়েও পাসিদের জীবন কিন্তু শুকিয়ে গেছে। এখন খেজুর গাছের সংখ্যা কমে এসেছে। কেউ লাগায় না এই গাছ প্রাকৃতিকভাবেও কমে গেছে অনেক। জায়গার অভাবও আছে। তবু কিছু কিছু এলাকায় এখনো তাজা খেজুর,পাটালি,নলেন গুড় তৈরি হয়। বাজার থেকে খানিক সস্তা দামে মেলে খাঁটি এইসব ঝোলাগুড়। পূর্ব বর্ধমান জেলার আউশগ্রামএ এইরকম একটা জায়গা হচ্ছে অভিরামপুর মানকর সংলগ্ন এলাকা।

 

সভাহরণ পুলের কাছে এলেই দেখা যাবে বেশ কিছু পাসি এখানে তাদের অস্থায়ী সংসার পেতেছেন। এরা কেউই পূর্ব বর্ধমান জেলার লোক নন। কিন্তু বিশ বছর ধরে শীতের মরশুমে এখানে তাদের সাজ সরঞ্জাম নিয়ে চলে আসেন।এখানে গাছ পালি নিয়ে রস কেটে আনেন। তারপর জ্বাল দিয়ে খেজুর গুড় বা পাটালি তৈরি করেন।এখানে খাঁটি গুড়ের সন্ধানে আসেন অনেক ক্রেতাই।কিন্তু খুবই কষ্টসাধ্য কাজ এই গুড় তৈরির কাজ। এখানে এবারেও এসেছেন প্রবীণ মাইনুদ্দিন শেখ। তিনি জানান ৩৫০ টি গাছ লিজ নিয়েছেন।

 

আর ও পড়ুন   আগামীকাল কলকাতা পুরভোট, থাকছে ২৩ হাজার বাহিনী

 

একটা গাছে রস পাবার জন্য প্রায় একমাস অপেক্ষা করতে হয়। তারপর রস পাবার পালা। আর একজন নবীন রসিক মিন্টু শেখ।তিনি জানান ভোর থেকে এসে কাজে লাগতে হয় তাদের।প্রায় চার পাঁচ ঘন্টা জ্বাল দিয়ে তবে ঝোলাগুড় পাওয়া যায়। আবার সেই গুড়কে আবার জ্বাল দিয়ে কাপড়ে মেলে ছাঁচ দিয়ে পাটালি তৈরি হয়।এখানে প্রায়ই গুড় কিনতে আসেন গোপাল মুখার্জী ও নাসিম আক্তারের মতো ক্রেতারা।

 

তার কথায় এখানে ভালো এবং খাঁটি গুড় মেলে। দামও কিছুটা কম।এখানকার গুড় খুবই সুস্বাদু। পাসিদের সাথে কথা বলে জানা গেল এবারের বাজারদর ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজির আশেপাশে আছে। এবারে ক্রেতাদের মধ্যে চাহিদাও ভাল। তাই আপাতত শীত একটু পরতেই খেজুরের নলেন গুড়ের রসে মজেছেন পূর্ব বর্ধমান জেলাতে থেকে আগত ক্রেতা ও ওই এলাকার মানুষরা।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top