প্রাক্তন জাতীয় বাস্কেট খেলোয়াড় পেটের টানে বর্তমানে ভাগ চাষী। জাতীয় খেলোয়াড় , সুযোগ বা কাজ কিছুই জোটে নি। তাই অন্যর জমিতে শাক সবজি ফলিয়ে তার থেকে পাওয়া ভাগ বাজারে বিক্রি করে কোন রকমে অতি কষ্টে নিজে অপুষ্টির শিকার হয়ে দিনযাপন করছেন প্রাক্তন জাতীয় ব্যাস্কেট খেলোয়াড়।
জাতীয় পর্যায়ে খেলে অসংখ্য পুরুস্কার এবং সংসাপত্র পেয়েও এখন অভাব অনাহারে জীবন যাপন করছেন জলপাইগুড়ি শহরের এক খ্যাতনামা জাতীয় ব্যাস্কেট খেলোয়াড় চন্দু। চন্দু দাসের বাড়ি রাজবাড়ী পাড়া এলাকায়। মা একটি বেসরকারি নাসিং হোমে আয়ার কাজ করেন।যদিও সেই কাজ সব সময়ে থাকেনা।
চন্দু নিজে পরিবারের এই অবস্থা দেখে শহরের বিভিন্ন দোকানে কাজ শুরু করেছিল তবে করোনার কারণে লক ডাউনের পর সেই কাজ ও হারিয়ে গেছে।বাধ্য হয়ে অন্যর জমিতে কিছু শাকসবজি চাষ করে সেটা বাজারে বিক্রি করে সংসারের কিছু টা হাল ধরেছেন।যদিও এই অবস্থায় সে আর নিজের খেলার প্রশিক্ষণ নিতে পারেনাই।এক সময়ে ডিএম থেকে উচ্চ পদস্থ ব্যাক্তির হাত থেকে অসংখ্য পুরুস্কার পেলেও এখন তার কাছে এই গুলো মূল্যহীন।
আর ও পড়ুন একাধিক ইস্যু নিয়ে এবার মুখ খুললেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী
কারণ কোনো জায়গা থেকেই কোন ধরনের কাজ বা চাকরি সুযোগ সে পাইনি। বর্তমানে হতাশার মধ্যে দিন জীবন যাপন করা চন্দু কিছু সাহায্যর আবেদন করেছে যাতে তার এই কঠিন পরিস্থিতি তে কোন ধরনের কাজ কেউ দিলে তাদের পরিবারটি বেঁচে যায়।পাশাপাশি সে আবার খেলার জগতে প্রবেশ করতে পারে।চন্দু ২০০৭ সনে জেলা শাসকের হাত থেকে সংশয়পত্র নিয়েছিল ।
এছাড়াও উচ্চ পদস্থ অফিসারের হাত থেকেও পুরুস্কার নিয়েছিল ।জাতীয় খেলায় জুনিয়র থেকে সাবজুনিয়র রাজ্য থেকে জেলা জাতীয় সব খেলাতেই জয়ী হয়ে জেলার তথা রাজ্যের মুখ উজ্জ্বল করা চন্দু আজ নিজেই অপুষ্টির শিকার , এখন খাবারের অভাবে অপুষ্টি ,কাজের অভাবে অনাহার নিত্য সঙ্গী । এমন ভাবেই এই প্রাক্তন জাতীয় খেলোয়াড়ের বর্তমান পরিস্থিতি বর্ণনা দিলেন কোচ সুব্রত রায়।