ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষাধিক টাকা খোয়া গেল এক বৃদ্ধের। ব্যাংকের অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজারকে ভরসা করে লক্ষাধিক টাকা খোয়া গেল এক বৃদ্ধের। ম্যানেজারের সূত্রে ধরে গ্রেফতার অন্যতম অভিযুক্ত এক মহিলা। গ্রেফতার করলো বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর ২০২১ সালে দমদমের বাসিন্দা ৭৯ বছরের প্রদীপ কুমার চ্যাটার্জী বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় এসে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যেখানে তিনি উল্লেখ করেন যে তার সঙ্গে একটি বেসরকারি ব্যাংকের অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার শুভংকর পাণ্ডের পরিচয় হয়। নিসন্তান হওয়ায় তাকে নিজেদের ছেলের মতন ভালো বসে ফেলেন ওই বৃদ্ধ।
বৃদ্ধ ওই ব্যাংকে তার জমানো কিছু টাকা তার স্ত্রীয়ের নামে রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেন। সেই সময় অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার শুভংকর তাকে প্রস্তাব দেয় সেই ব্যাংকে বৃদ্ধের স্ত্রী জোৎস্না চ্যাটার্জীর নামে টাকাটি ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে। সেই অনুযায়ী বৃদ্ধ নিজের ব্যাংকের সমস্ত তথ্য এবং ৩৭ লক্ষ টাকা শুভঙ্করের হতে তুলে দিয়ে ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে বলে।
আর ও পড়ুন তৃণমূল পার্টিটা দুষ্কৃতকারীদের হাতে চলে গেছে, বললেন দিলীপ ঘোষ
তবে তার বেশ কয়েক বছর পর ওই বৃদ্ধ ব্যাংকে গিয়ে তার টাকার পরিমাণ কতটা বেড়েছে সেটা খোঁজ নিতে গিয়ে জানতে পারেন তার স্ত্রীয়ের নামে কোনও ফিক্সড ডিপোজিট নেই। এরপরই বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার দারস্ত হন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানা গ্রেফতার করে সেই ব্যাংকের এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার শুভংকর পান্ডেকে।
তার থেকেই পুলিশ জানতে পারেন বৃদ্ধের থেকে নেওয়া টাকা তিনি অন্য একাউন্ট ট্রান্সফার করেছেন। এরপরই সেই একাউন্ট হোল্ডার উত্তর দমদমের বাসিন্দা সিক্তা বিশ্বাসকে তলব করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ। তবে বারংবার হাজিরা এড়িয়ে যাওয়ার পর অবশেষে গতকাল রাতে তার বাড়িতে হানা দেয় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।
সেখান থেকেই অন্যতম অভিযুক্ত সিক্তা বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ অভিযুক্তকে বিধাননগর আদালতে তোলা হবে। পুলিশ তাকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তদন্ত করে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।