রাজ্য – গঙ্গা দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে যেখানে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, সেখানে তুলনামূলকভাবে ভাল ফল করেছে পশ্চিমবঙ্গ। তবে তবুও গঙ্গা দূষণ নিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছে ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল (NGT)। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, হলফনামা চাওয়া হয়েছে ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা (NMCG) এবং সেন্ট্রাল পলিউশন কন্ট্রোল বোর্ডের (CPCB) কাছ থেকেও।
গঙ্গা দূষণ সংক্রান্ত একটি মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে ৮ অক্টোবর। তার আগেই সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলিকে বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছে এনজিটি। উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে এই মামলাটি এনজিটির বেঞ্চে উঠেছিল। শুনানিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, নিকাশি ব্যবস্থা থেকে কীভাবে দূষিত জল সরাসরি গঙ্গায় মিশছে, তার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরতে হবে।
১ জুলাই রাজ্যের পরিবেশ দফতর একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে। সেই রিপোর্টে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ থাকলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এনজিটি। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, কিছু এলাকায় সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টগুলি (STP) সঠিকভাবে কাজ করছে না। ফলে অপরিশোধিত জল সরাসরি গঙ্গায় মিশছে। বর্তমানে এই ত্রুটিগুলি দূর করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মানব সভ্যতার অসতর্কতা, অতিরিক্ত জনচাপ ও অবিবেচক ব্যবহারের ফলেই ক্রমাগত দূষিত হচ্ছে গঙ্গা। এই দূষণ রুখতে মোদি সরকার ‘নমামি গঙ্গে’ প্রকল্প চালু করলেও বাস্তবে উত্তরপ্রদেশ, বিহার ও উত্তরাখণ্ড—এই তিন ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্য গঙ্গা দূষণ নিয়ন্ত্রণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখাতে পারেনি। সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে তারা পাশ নম্বরও পায়নি।
এই প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গ তুলনামূলকভাবে ভাল স্থানে রয়েছে। রাজ্যে জল শোধনের পরিকাঠামো শক্তিশালী করার কাজ চালাচ্ছে প্রশাসন। গঙ্গায় নোংরা জল মেশা রোধে আরও কড়া নজরদারি শুরু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে পরিবেশ দফতরের তরফে।




















