রাজ্য – নতুন রাজনৈতিক কৌশল ও ঐক্যের বার্তা নিয়ে বৃহস্পতিবার রাতে লোকসভায় বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীর বাসভবনে এক নৈশভোজে মিলিত হলেন ইন্ডিয়া জোটের প্রায় ৫০ জন শীর্ষ নেতা। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও’ব্রায়েন, সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব, সিপিআই (এম)-এর এমএ বেবি সহ একাধিক দলের নেতা-নেত্রীরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এই বৈঠকে রাহুল গান্ধী একটি বিস্তারিত উপস্থাপনা দেন, যার শিরোনাম ছিল ‘গণতন্ত্র ধ্বংস’ (Democracy Destroyed)। উপস্থাপনায় ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে ‘ভোট কারচুপির সুসংগঠিত ষড়যন্ত্র’-এর অভিযোগ তোলেন তিনি। রাহুল সরাসরি নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাতেও প্রশ্ন তোলেন এবং তাদের বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে মিলে কারচুপি করার অভিযোগ আনেন।
রাহুলের দাবি, কর্নাটকের বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল লোকসভা কেন্দ্রের মহাদেবপুরা বিধানসভা এলাকায় ১ লক্ষেরও বেশি জাল ভোট তৈরি হয়েছে। এই কেন্দ্রে বিজেপি ১.১৪ লক্ষের বেশি ভোটে এগিয়ে থাকলেও, গোটা আসনে জয়লাভ করে মাত্র ৩২ হাজার ভোটে— যা অস্বাভাবিক বলেই দাবি তাঁর।
তিনি আরও জানান, বিভিন্ন ভোটার তালিকায় এক ব্যক্তির নাম একাধিক বুথ ও রাজ্যে রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে গুরকিরত সিং ডাং-এর নাম চারটি বুথে এবং আদিত্য শ্রীবাস্তব ও বিশাল সিংয়ের নাম একাধিক রাজ্যে ভোটার তালিকায় রয়েছে বলে দাবি করেন রাহুল।
রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, নির্বাচন কমিশন বুথের সিসিটিভি ফুটেজ ও মেশিন রিডেবল ভোটার তালিকা দিতে অস্বীকার করেছে। উপরন্তু, কমিশন আইন সংশোধন করে রাজনৈতিক দলের পর্যবেক্ষণের সুযোগ সীমিত করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
এই ধরনের জালিয়াতির অভিযোগ কেবল কর্নাটকেই নয়, মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানাতেও রয়েছে বলে জানান রাহুল। মহারাষ্ট্রে এক বছরে এক কোটি নতুন ভোটারের সংযোজন এবং সন্ধ্যা ৫টার পর হঠাৎ করে ভোটের শতাংশ বেড়ে যাওয়াকে সন্দেহজনক বলেও দাবি করা হয়।
এই অভিযোগের ভিত্তিতে ইন্ডিয়া জোট দুটি বড় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, যার লক্ষ্য জনমত গড়ে তোলা এবং বুথ স্তরে জালিয়াতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সংগঠিত করা।
অন্যদিকে বিকাশশীল ইনসান পার্টির নেতা মুকেশ সাহানী জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা কোনও নির্বাচন বয়কট করছেন না। তাঁর কথায়, “আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি, লড়ব, পালাব না।”
