দক্ষিণ ২৪ পরগনা- ১৪ জুন বিন পিরিয়ড শেষ হওয়ার পর থেকেই সমুদ্রে মাছ ধরতে বেরিয়ে পড়েন উপকূল এলাকার বহু মৎস্যজীবী। কেউ ইতিমধ্যে ইলিশ নিয়ে ফিরেছেন, কেউ এখনও পর্যন্ত আশানুরূপ সাফল্য পাননি। এমন সময়ই নতুন করে ঝড়ের সতর্কতা জারি হওয়ায় চাপে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা।
মৎস্য দপ্তরের নিষেধাজ্ঞা ও প্রশাসনের উদ্যোগ
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, সমুদ্রে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিমি বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে পারে। এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আশঙ্কায় মৎস্য দপ্তর গভীর সমুদ্রে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
মৎস্যজীবীদের নিরাপত্তার স্বার্থে জীবিতলারদের অবিলম্বে কুলে ফিরে আসতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বার্তা পৌঁছে দিতে কাকদ্বীপ, নামখানা, পাথরপ্রতিমা এবং ফ্রেজারগঞ্জ উপকূল অঞ্চলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্থলপথ ও জলপথে মাইকিং শুরু হয়েছে।
টলার ফিরতে শুরু করেছে
প্রশাসনের সতর্কবার্তার পর, ইতিমধ্যে গভীর সমুদ্র থেকে বহু টলার উপকূলে ফিরে আসতে শুরু করেছে।
জেলাপরিষদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “মৎস্যজীবীদের জীবন আগে, মাছ পরে। প্রাকৃতিক বিপর্যয় রুখতে আমরা সজাগ।”
উল্লেখ্য, প্রতিবছর বর্ষার মরসুমে এমন সতর্কতা ও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও, এবছর ইলিশের প্রত্যাশায় মৎস্যজীবীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে প্রশাসনের কঠোর মনোভাব ও সচেতনতামূলক প্রচারের জেরে পরিস্থিতি কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে।
