গরমের ছুটি কাটাতে দার্জিলিং ভ্রমণ রাজ্যপালের! হেঁয়ালির স্বরে রাজ্যপালকে তীব্র কটাক্ষ বানে বিদ্ধ করলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। একাধিক বার পদ্মের ঘরে রাজনৈতিক ফায়দা তুলে দিতে নির্বাচনের সময়কালে দার্জিলিং পাহাড়ে রাজ্যপালের হাজিরা নতুন নয়। বিজেপি সৃষ্ট পাহাড়ের রাজনৈতিক উস্কানির আগুনে ফুঁ দিতেই দিল্লির দরবারের নির্দেশে রাজ্যপাল জগদ্বিপ ধনকরকে ছুটতে হয় উত্তরবঙ্গে শৈল শহরের দপ্তরে।
এবারেও জিটিএ নির্বাচন ঘোষনা হতেই বিমলকে উস্কে দিয়ে অশান্তি সৃষ্টির মরিয়া চেষ্টা চালায় বিজেপি। তবে পাহাড়বাসী সেসবে আমোল না দেওয়ায় খোদ ভাজপা দপ্তরের নির্দেশ নিয়ে পাহাড়ে হাজির হতে হলো সশরীরে বঙ্গের রাজ্যপালকে। গ্রীষ্মের দাবদাহে গরমের ছুটি কাটাতে দক্ষিণবঙ্গ পর্যটকদের ঢল নেমেলে পাহাড় রানীর কোলে।
আর সে মোক্ষম সময় ভাজপা দপ্তরের সামার হলিডে মুকুবে হলো রাজ্যপালের জন্য। মিশন পর্যটন প্রিয় পাহাড়ে পারদ মাত্রা বাড়ানোর কাজে পদ্ম স্কুল থেকে পাঠানো হয়েছে এ বঙ্গের অনুগত ছাত্র রাজ্যপাল জগদ্বিপ ধনকরকে। নীল সাদা অপূর্ব আকাশ ও পাহাড়ে স্নিগ্ধতায় বিষবাষ্প ছড়ানোর কাজ হোক কিংবা নাইবা হোক, গরমের ছুটি গুনে গুনে উপভোগ করবেন অনুগত ছাত্র। রাজনৈতিক মহলের সাফ মন্তব্য নির্বাচনের সময়কালে দিল্লির কেন্দ্র সরকারের নির্দেশ মতো পাহাড়ে এসে অশান্তি ও উষ্কানীমূলক কাজ হাজির হন তিনি।
আরও পড়ুন – রানাঘাটে ‘মন কি বাত’ এ উপস্থিত হয়ে শাসক দলকে নিশানা দিলীপের
তবে বরাবর সে চাল ধোপে টেকেনি। এদিন রাজ্যপাল বাগডোগড়া বিমান বন্দরে নেমেই রাজ্য বিরোধী মন্তব্য রাখেন। এরপরই রাজ্যের ক্রীড়া ও যুব কল্যাণ মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস তীব্র হেঁয়ালি ছুড়ে বলেন- কলকাতার শহরে প্রচন্ড গরম ছুটি কাটাতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে উত্তরে। ট্রেনে উপচে পড়ছে দার্জিলিং ছুটি কাটাতে আসা পর্যটকদের ভিড়ে। নাম না করেই তিনি ঘুরিয়ে রাজ্যপালকে পর্যটক বলে আখ্যায়িত করে বলেন আমি জানি না কে কোথায় এসেছে। তবে সবাই ছুটি কাঁটাতে এসেছে।