গ্রামের গলিপথে মাটির প্রদীপ বিক্রি করছে পড়ুয়ারা। করোনার জেরে প্রায় দেড় বছর থেকে বিদ্যালয় গুলি বন্ধ। শহরের পড়ুয়ারা পড়াশোনায় মজে থাকলেও গ্রামের বেশিরভাগ পড়ুয়ারা কাজের সঙ্গে যুক্ত। এমনই ছবি ধরা পড়ল মঙ্গলবার তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের অন্দরানফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উল্লারঘাট এলাকায়। নাটাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্র প্রসেনজিৎ পাল ও দেব পাল সাইকেল নিয়ে উল্লারঘাট এলাকায় গলিপথে মাটির প্রদীপ বিক্রি করছেন।
তাঁরা তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের নাটাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহেববাড়ি এলাকায় থাকে। জায়গীর চিলাখানা উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র। তাদের পরিবারের পেশা মাটির জিনিস তৈরি করে বিক্রি করা। পরিবারের আর্থিক অবস্থা বেশি ভালো নয়। পরিবারের পাশে দাঁড়াতেই নাটাবাড়ির সাহেববাড়ি থেকে ১২-১৩ কিলোমিটার পেরিয়ে সাইকেল নিয়ে গ্রামের ওলিগলি পথে মাটির প্রদীপ বিক্রি করে চলেছে দুই পড়ুয়া।
দেব পাল জানান, বিক্রি সেরকম নেই বললেই চলে। সরিষার তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রয়োজনের তুলনায় কম প্রদীপ কিনছেন মানুষ। পাশাপাশি সস্তায় এলইডি ও প্লাস্টিকের মোমবাতি পাওয়া যায় বলে মাটির প্রদীপের চাহিদা অনেকটাই কমে গিয়েছে। সারাদিন ঘুরে ১৫০ টাকা বিক্রি করেছি।
আর ও পড়ুন ফের বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ, কী বললেন?
অপর পড়ুয়া প্রসেনজিৎ পাল জানান, ১২টি মাটির প্রদীপ ১০ টাকায় বিক্রি করছি। মাটির প্রদীপের উপকরণের দাম বৃদ্ধি পেলেও সে তুলনায় প্রদীপের দাম বৃদ্ধি পায়নি। সারাদিন ঘুরে ২০০ টাকার কাছাকাছি বিক্রি করেছি। স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। এভাবেই কয়েকদিন বিক্রি করতে হবে।
উল্লেখ্য, গ্রামের গলিপথে মাটির প্রদীপ বিক্রি করছে পড়ুয়ারা। করোনার জেরে প্রায় দেড় বছর থেকে বিদ্যালয় গুলি বন্ধ। শহরের পড়ুয়ারা পড়াশোনায় মজে থাকলেও গ্রামের বেশিরভাগ পড়ুয়ারা কাজের সঙ্গে যুক্ত। এমনই ছবি ধরা পড়ল মঙ্গলবার তুফানগঞ্জ-১ ব্লকের অন্দরানফুলবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের উল্লারঘাট এলাকায়। নাটাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার সপ্তম শ্রেণির দুই ছাত্র প্রসেনজিৎ পাল ও দেব পাল সাইকেল নিয়ে উল্লারঘাট এলাকায় গলিপথে মাটির প্রদীপ বিক্রি করছেন।