গাজোলের মাছ ব্যাবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার প্রায় দেড় কোটি টাকা, তদন্তে সিআই ডি

গাজোলের মাছ ব্যাবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার প্রায় দেড় কোটি টাকা, তদন্তে সিআই ডি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

গাজোলের মাছ ব্যাবসায়ীর বাড়ি থেকে উদ্ধার প্রায় দেড় কোটি টাকা, তদন্তে সিআই ডি। রাজ্য জুড়ে সিবিআই হানা অব্যাহত, এবার দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযানে সিআইডি, উত্তরবঙ্গের প্রথম হানায় গ্রেপ্তার মালদা জেলার গাজোলের মাছ ব্যাবসায়ি জয়প্রকাশ সাহা, উদ্ধার প্রায় দেড় কোটি টাকা। রবিবার সকালে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাঝেই অতর্কিত অভিযান চালানো হয় গাজোলের মাছ ব্যাবসায়ি বলে পরিচিত জয়প্রকাশ সাহার বাড়িতে।

 

সামান্য মাছ ব্যাবসায়ি শাসক দলে নাম লিখিয়ে প্রভাবশালি হয়ে ওঠে, অভিযোগ বিরোধি দলের। তার সঙ্গে গরু পাচারের যোগ সূত্র রয়েছে সন্দেহ তদন্তকারী সংস্থার। ওপর সূত্র, শ্যালকের টাকা বাড়িতে রাখতে গিয়ে বিপদে পড়েছে ওই মাছ বিক্রেতা।
সূত্রের খবর তার বাড়ি হতে উদ্ধার হয়েছে নগদ 1 কোটি ৩৯ লক্ষ টাকা। মাত্র কয়েক মাস আগে কলকাতার অভিনেত্রী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতে গচ্ছিত টাকা গুনতে যেমন টাকা গোনার মেশিন ব্যবহার করতে হয়েছিল তদন্তকারীদের তেমনি এক্ষেত্রেও ব্যাঙ্ক থেকে টাকা গোনার জন্য মেশিন এনে টাকা গুনতে হয়।

 

রবিবার সকালে সিআইডির আধিকারিকরা অভিযান সংগঠিত করেন, গাজোল পুলিশের নিরাপত্তার বেষ্টনীতে জয় প্রকাশ সাহার বাড়িতে যান আধিকারিকরা। এরপর শুরু হয় তল্লাশি, টাকার পাহাড় উদ্ধারের পর বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সূত্রের খবর তার কাছে এই বিপুল পরিমান টাকার উৎস সম্পর্কে সে কিছুই জানাতে পারে নি। তদন্দকারীদের সন্দেহ উত্তরবঙ্গের পথ দিয়ে নিয়ে যাওয়া গরু পাচারের থেকেই এই অর্থ সংগ্রহীত। যদিও ওপর ধারণা ধৃতের শ্যালকের মাদক পাচারের টাকা। গোয়েন্দা দপ্তরের একটি সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, জয়প্রকাশ সাহার এক শ্যালক ওম সাহা।

 

তার বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর এলাকায়। ওই ব্যক্তি বিভিন্ন ধরনের মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত ছিল। কিছুদিন আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয় । এরপরই তাকে জেরা করে জানা যায় যে বিশাল পরিমাণ টাকা ওই ব্যক্তি তার জামাইবাবুর বাড়িতে মজুত রেখেছে । সম্পূর্ণ টাকাগুলি বেআইনি। এরপরই বিষয়টি জানতে পেরে এদিন সকালে গাজোলের ওই মাছ বিক্রেতা জয়প্রকাশ সাহার বাড়িতেই অভিযান চালানো হয়। সেখানে ৫০০ এবং ২০০০ টাকার নোটের অসংখ্য বান্ডিল উদ্ধার হয়েছে । উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ১ কোটি ৩৯ লক্ষ ৩ হাজার ৫০ টাকা। তবে অভিযুক্ত জয় প্রকাশসহ মাদক কারবারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বল প্রাথমিকভাবে মনে করছে তদন্তকারী গোয়েন্দা কর্তারা।

আরও পড়ুন – বেহাল রাস্তা সারাইয়ের দাবিতে এশিয়ান হাইওয়ে অবরোধ স্থানীয়দের

এদিকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে মালদা ও দক্ষিণ দিনাজপুর রেঞ্জের এসপি (সিআইডি) আনিস সরকার জানিয়েছেন , এই ঘটনার নেপথ্যে বেআইনি কারবার রয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে।  এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় বিভিন্ন তথ্য তাদের কাছে উঠে এসেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছু পরিষ্কার করে কিছু বলা সম্ভব নয় । তবে এই ঘটনার সঙ্গে মাদক কারবার জড়িত রয়েছে বলেও প্রাথমিক সন্দেহ করা হচ্ছে। একজন সাধারণ মাছ বিক্রেতার বাড়িতে এত বিপুল পরিমাণ টাকা মজুত রাখার থাকার পিছনে কি রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। উদ্ধার হওয়া টাকার সিজন লিস্ট তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি ওই মাছ বিক্রেতাকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে পেশ করা হবে।

 

এ বিষয়ে বিজেপির স্থানীয় নেতা চন্দন বর্মন বলেন গরু হোক বা অন্য কিছু এটা পরিষ্কার দুর্নীতির টাকা এগুলো। শাসক দল বিপদ বুঝে নিজেরাই ধরপাকড় শুরু করেছে এটা ভালোদিক তবে রাজ্যর সিআইডিকে দিয়ে ধরপাকড় করিয়ে কম শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা সফল হবে না শাসকের মন্তব্য তার।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বারবার ফোন করলেও ফোন তোলেন নি তৃণমূলের জেলা কর্মধক্ষ দীনেশ টুডু।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top