সুশান্তের মৃত্যু মামলায় নয়া মোড়! গুগল এবং ফেসবুকের সাহায্য চাইল সিবিআই। ফের নজরে প্রয়াত অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। মুম্বইয়ে নিজের ফ্ল্যাটে মারা যান অভিনেতা। মৃত্যুর দেড় বছর পরেও তাঁকে ঘিরে থেকে গিয়েছে অনেক অজানা দিক।
আজও উত্তর পাওয়া যায়নি বহু প্রশ্নের। তাঁর ভক্তদের এখনও মত, সুশান্ত সিং রাজপুতের মতো প্রাণবন্ত কোনও ব্যক্তি এভাবে নিজের জীবন শেষ করে দিতে পারেন না। এখনও তাঁর মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনে একযোগে কাজ করছে তিনটি এজেন্সি। রই মধ্যে সিবিআই।
সুশান্ত সিং রাজপুতের মুছে ফেলা ইমেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলি পুনরুদ্ধার করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষের কাছে সাহায্য চেয়েছে। এখনও তাঁর মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটনে একযোগে কাজ করছে তিনটি এজেন্সি। এই সবের মধ্যেই সামনে এল চাঞ্চল্যকর খবর।
শোনা যাচ্ছে সেনট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন সাহায্য চেয়েছে আমেরিকার যাতে প্রয়াত সুশান্ত সিং রাজপুত-এর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট এবং ইমেল অ্যাকাউন্ট থেকে ডিলিট করে দেওয়া তথ্য রিট্রিভ করা যায়। ১৪ জুন সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে সরাসরি বা ঘুরপথে কোন কোন বিষয় রয়েছে তা খতিয়ে দেখতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
ক্যালিফর্নিয়ায় স্থিত গুগল এবং ফেসবুকের-এর প্রধান কার্যালয় থেকে Mutual Legal Assistance Treaty-র অধীনে এই তথ্য চাওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘কেস ক্লোজ করার আগে আমরা সব দিক ভালো করে খতিয়ে দেখতে চাই। কোনও রকম লুজ এন্ড রাখতে চাই না। জানতে চাই কোনও এমন পোস্ট বা চ্যাট অথবা ইমেল ডিলিট করে দেওয়া হয়েছিল কি না যার থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোনও সূত্র পাওয়া যেতে পারে।’
সিবিআই, যারা কয়েক ডজন লোককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে এবং সুশান্ত সিং রাজপুত কেস নেওয়ার পরে একাধিক ফরেনসিক পরীক্ষা পরিচালনা করেছে, তার মুছে ফেলা ইমেল এবং সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট এবং তার মৃত্যুর মধ্যে যে কোনও সম্ভাব্য লিঙ্ক তদন্ত করতে চান।
সিবিআই পারস্পরিক আইনি সহায়তা চুক্তি-এর অধীনে মার্কিন সাহায্য চেয়েছে – জনসাধারণের বা ফৌজদারি আইন প্রয়োগ করার প্রচেষ্টায় তথ্য সংগ্রহ এবং বিনিময়ের উদ্দেশ্যে দুই বা ততোধিক দেশের মধ্যে একটি আইনি চুক্তি। সূত্রের খবর, ভারত গুগল এবং ফেসবুকের কাছে সুশান্ত সিং রাজপুতের মুছে ফেলা ইমেল এবং পোস্ট সম্পর্কে তথ্য চেয়েছে।
এখনও পর্যন্ত সিবিআইয়ের তদন্তের আগে, সিবিআই মামলায় সুশান্ত সিং রাজপুতের রুমমেট, তার কর্মচারী, অভিনেতা Rhea Chakraborty এবং তার পরিবারের সদস্য এবং আরও কয়েকজনের বক্তব্য রেকর্ড করেছিল। তবে তাকে হত্যা করা হয়েছে এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
আর ও পড়ুন কলকাতা এবং হাওড়ায় পুরভোটের দিন ঘোষণা করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন
চলতি বছরেরই মে মাসে গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রয়াত অভিনেতার রুমমেট সিদ্ধার্থ পিঠানিকে। হায়দরাবাদ থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। বেশ কয়েকটি সরকারি ল্যাবের ফরেনসিক পরীক্ষাতেও সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুতে কোনও খারাপ খেলার কথা অস্বীকার করেছে। অভিনেতার পরিবারের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে, Rhea Chakraborty এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে একটি FIR দায়ের করা হয়েছিল। মুম্বাই পুলিশ তাঁর তদন্তে অভিনেতার মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করতে পারে নি।
এদিকে অগস্ট মাসে হঠাত্ করেই সুশান্ত সিং রাজপুতের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নতুন ছবি পোস্ট করা হয়। আর তা নিয়েই তুমুল হইহই শুরু হয়ে যায় নেটপাড়ায়। ১৮ অগস্ট এই ছবিটি সুশান্তের ফেসবুক প্রোফাইল থেকে পোস্ট করা হয়েছিল। এরপরেই অনুরাগীদের একাংশ চমকে ওঠে। কে তাঁর অ্যাকাউন্ট থেকে এই ছবিটি পোস্ট করেছেন, তা নিয়ে চলেছে তুমুল জল্পনা। একইসঙ্গে আবেগে ভেসেছেন সুশান্ত ভক্তরা। তাঁদের দাবি, কোনওভাবেই যেন ছবিটি সরিয়ে না দেওয়া হয়।