মুর্শিদাবাদ – মুর্শিদাবাদে রীতিমতো অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। রয়েছে রাজ্য পুলিশ, মোতায়েন করা হয়েছে BSF। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর মুর্শিদাবাদে পৌঁছেছে আধাসেনা বাহিনী। তবুও উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ। এমন খবরই রটছিল ইন্টারনেটে। অথচ রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে ডিজিপি রাজীব কুমার জানিয়ে দিয়ে ছিলেন যে, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।ভুলভাল খবর রটানো হচ্ছে। তাই সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন জঙ্গিপুর পুলিশ সুপার আনন্দ রাই। এবার এই গুজব ছড়ানো রুখতেই মুর্শিদাবাদের আরও কয়েকটি জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি বীরভূমেও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হবে।রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, গুজব ছড়ানো রুখতে ১৩ এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল রাত ১০ টা পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ ও বীরভূমের নির্দিষ্ট এলাকায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ থাকবে। তবে ইন্টারনেট বন্ধ থাকলেও ফোনে কথা বলা যাবে। মোবাইলেও বার্তা পাঠানো যাবে। সংবাদমাধ্যমকে কোনও বাধা দেওয়া হবে না। আরও জানানো হয়েছে, এহেন পদক্ষেপ না গ্রহণ করলে এই দুটি জেলার সংশ্লিষ্ট জায়গাগুলিতেও আরও গুজব ছড়াবে। তাই আগাম সতর্কতা হিসেবে মালদহ ও বীরভূমের কিছু এলাকায়ও ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ওয়াকফ সংশোধনী আইন পাস হওয়ার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ বাংলা। বিশেষত মুর্শিদাবাদ। ইতিমধ্যেই জলে বিষ মেশানোর অভিযোগে মালদায় পালিয়েছেন প্রায় পাঁচশত মানুষ। এমনি পরিস্থিতিতে গতকাল মুর্শিদাবাদে জেলায় পৌঁছেছেন ডিজিপি রাজীব কুমার।
তিনি জানিয়েছেন, “মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে।” এছাড়াও উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদকে ঠান্ডা করতে এলাকায় গিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএসএফ বাহিনীর আইজি। তিনি জানিয়েছেন, যতদিন এই এলাকায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি থাকবে, ততদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় মোতায়েন করা থাকবে। অন্যদিকে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার আনন্দ রাই বলেছেন, “পরিস্থিতি এখন অনেক ভাল আছে। তবে একটাই অনুরোধ, গুজবে কান দেবেন না। অনেকরকম গুজব ছড়াচ্ছে। যদি কারও কোনও সন্দেহ থাকে, আমাদের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করুন। আমরা ব্যাখ্যা দিয়ে দেব।” এখনও পর্যন্ত অগ্নিগর্ভ মুর্শিদাবাদ থেকে ১৭০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
