গুজরাটে সেতু ভেঙ্গে পড়ে নিহত ১৩০ । গুজরাটের মরবি এলাকায় ব্রিটিশ আমলের একটি সেতু ভেঙ্গে পড়ে কমপক্ষে ১৩০ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যায় ঘটা এই দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত ১৭৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ আরও অনেকের খোঁজে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। গতকাল সন্ধ্যায় স্থানীয় সময় ৬টা ৪২ মিনিটে গুজরাটের রাজধানী আহমেদাবাদ থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে চলাচলের জন্য অনুপোযোগী ঘোষণা করা এই সেতুটি ভেঙ্গে পড়ার সময় এর ওপর প্রায় ৫০০ মানুষ ছট পূজার অনুসঙ্গ পালন করছিল।
দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার অভিযান শুরু করে ভারতের ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্স। পরে কাজ শুরু করে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদস্যরা। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন নৌকার সাহায্যে নদীতে ভেঙ্গে পড়া সেতুর আশেপাশে উদ্ধার অভিযান চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুর্ঘটনায় ১৫০ বছরের পুরোনো সেতুটির সাপোর্ট ক্যাবল ছিঁড়ে যায় এবং সেতুটি লোকজনসহ ভেঙ্গে নীচের নদীতে পড়ে যায়। স্থানীয় কিছু ভিডিওতে দেখা যায় ভেঙ্গে যাওয়ার পর লোকজন সাঁতরে তীরে ওঠার চেষ্টা করছে আর কেউ কেউ সেতুটির ভাঙ্গা অংশ ধরে জলে ভেসে থাকার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন – উৎসবের মেজাজে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে “ছট” বন্দনা
মাচ্ছু নদীর ওপর এই সেতুটি সংস্কার কাজের জন্য সাত মাস বন্ধ ছিল। গত ২৬ অক্টোবর গুজরাটের নববর্ষে সেতুটি সাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়। তবে স্থানীয় মিউনিসিপাল কর্তৃপক্ষের প্রধান এনডি টিভিকে জানিয়েছেন যে শতবর্ষী এই সেতুটি উদ্বোধনের আগে সংস্কার কাজে নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানটি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ফিটনেস সার্টিফিকেট নেয়নি। এদিকে, দুর্ঘটনার পরপর সরকারের পক্ষ থেকে দায় স্বীকার করে গুজরাটের শ্রম ও কর্মসংস্থানমন্ত্রী ব্রিজেশ মেরজা বলেন, ‘গত সপ্তাহে সেতুর সংস্কার কাজ শেষ হয়।
আমরা মর্মাহত।’ এ বিষয়ে পাঁচ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের কমিটি ঘটনার তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হার্ষ সাঙ্গভি। দুর্ঘটনায় নিহদের প্রতি পরিবারকে চার লাখ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে গুজরাট সরকার। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিহতদের পরিবার প্রতি অতিরিক্ত দুই লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা দিয়েছেন। গুজরাটে সেতু