রাজ্যে গুটি গুটি পায়ে ঢুকতে শুরু করেছে উত্তুরে হাওয়া, শীত আসছে। শীত এখনও না এলেও সকালের দিকে বেশ ঠাণ্ডা অনুভব করছে রাজ্যবাসী। আব হাওয়া অফিস জানাচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় শহরের সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে যথাক্রমে ৩২ ও ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। দিনের দিকে খুব একটা তাপমাত্রা বাড়বে না। স্বাভাবিকের আশেপাশেই থাকবে।
আগামী পাঁচ দিন শহরে উত্তরে হাওয়া ঢোকার প্রক্রিয়া চলবে। যার ফলে কালীপুজো ও ভাইফোঁটায় শীতের কিছুটা আমেজ থাকবে। সকালে কুয়াশা থাকবে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়। উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও দক্ষিণবঙ্গের কোনও জেলায় তেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা আগামী কয়েকদিনে নেই। যার ফলে আগামী কয়েকদিন আগাম শীতের কিছুটা আঁচ পাবে রাজ্যবাসী।
কবজি ডুবিয়ে আয়েশে কষা পাঁঠার মাংসোর সঙ্গে নলেন গুড়ের রসগোল্লা খাওয়ার দিন প্রায় এসে গেল! বৃষ্টির যাবতীয় টোখ রাঙানি কাটিয়ে এবার ধীরে ধীরে পারদ পতনের কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলা জুড়ে। ইতিমধ্যেই তাপমাত্রা ডিগ্রি সেলসিয়াসের দিক থেকে বহু অংশে হু হু করে নামতে শুরু করে দিয়েছে। রবিবার রাত থেকে পারদ যে আরও নামতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস মতো এদিন উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া শুকনো থাকার কথা রয়েছে। এদিকে, সেভাবে বৃষ্টির পূর্বাভাস না থাকলেও, সোমবার দার্জিলিং কালিম্পং এ বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এই দুই এলাকা বাদে উত্তরবঙ্গের বাকি অংশে বর্ষণের সম্ভাবনা নেই। তবে উত্তরবঙ্গে শীতের অনুভূতি শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে উত্তরবঙ্গে তাপমাত্রার পারদের পরিমাণ নামতে শুরু করবে বলে জানা গিয়েছে।
আর ও পড়ুন পুরুলিয়ায় তৃণমূল নেতাদের খুনের হুমকি দিয়ে মাওবাদী পোস্টার
আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, বাংলার বহু এলাকায় রাজ্যের প্রতিটি জেলাতেই প্রায় আংশিক কুয়াশা থাকবে। তবে সোমবার ও মঙ্গলবার থেকে পশ্চিমের জেলাগুলিতে শীতের আমেজ বেশি করে অনুভূত হবে। শীতের আমেজে এবার জাঁকিয়ে বসলেও রবিবার থেকে তাপমাত্রা পতনের হার আরও বেশি হবে। ফলে এবারই আরও জাঁকিয়ে বসবে শীতকাল। মনে করা হচ্ছে ধীরে ধীরে রাতের তাপমাত্রা কমতে পারে। এছাড়াও শীতকালের ভোরে যেভাবে কুয়াশা দেখা যায়, তেমনই কুয়াশা এবার ধীরে ধীরে দেখা যাবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানা গিয়েছে।