ভাইয়ের স্ত্রীর হাতে বেধড়ক মারধরের ফলে গুরুতর জখম ১৪ বছরের নাবালিকা এবং তাঁর মা। নদিয়ার শান্তিপুর মুন্সিরপুল সংলগ্ন মানিক নগর এলাকায়, মাধবী সামন্ত এবং তার ১৪ বছরের নাবালিকা কন্যা সীমা সামন্ত তারা বাপের বাড়িতেই বসবাস করতেন। প্রায়শই বাড়িতে থাকা অন্যান্য বাচ্চাদের সাথে খেলতে খেলতে, মারামারি করত সবাই। সেইরকমই শনিবার সন্ধ্যেবেলা অন্যান্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতে খেলতে, ওই ১৪ বছরের নাবালিকা কন্যা সীমা সামন্ত হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। এবং তারপরই মাধবী সামন্তের বাপের বাড়ির ভাইয়ের স্ত্রী ওই ১৪ বছরের নাবালিকা কন্যাকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে। ঘটনাস্থলে সংজ্ঞাহীন হয়ে মাটিতে পড়ে থাকে ওই নাবালিকা কন্যা।
তখন মাধবী দেবী তার কন্যা সন্তানকে বাচাঁনোর জন্য ছুটে গেলে, তার ওপরেও বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে সংজ্ঞাহীন ভাবে পড়ে থাকা ১৪ বছরের নাবালিকা কন্যাকে, কোনরকমে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে আসেন মাধবী দেবী। ওই নাবালিকা কন্যার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তৎক্ষণাৎ তাকে শান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেন। বর্তমানে ওই নাবালিকা আশঙ্কাজনক অবস্থায় শান্তিপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আর ও পড়ুন টাকা তুলতে গিয়ে অপহরণ নবম শ্রেণীর ছাত্রী
মাধবী দেবী জানান, প্রায়শই তার এবং তার মেয়ের উপর বেদম প্রহার করে তার বাপের বাড়ির ভাইয়ের স্ত্রী। কিন্তু তার ভাইয়েরা কোন প্রতিবাদ করেন না এই ব্যাপারে। এই বিষয়ে মাধবী দেবী এর আগে কোন প্রতিবাদ করেননি। যেহেতু পরিবারে একসাথে থাকলে ঝামেলা লেগেই থাকে তাই। কিন্তু এদিন তার মেয়েকে বেদম প্রহার করলে সেখানে সংজ্ঞাহীন হয়ে পরার কারণে তিনি প্রতিবাদ করতে গেলে, তার ওপরও চড়াও হয় তার ভাইয়ের স্ত্রী ।
এই ঘটনায় তিনিও গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। তার সাথে তার কন্যা সন্তানও আশঙ্কাজনক অবস্থায় শান্তিপুর হাসপাতালে ,চিকিৎসাধীন রয়েছে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জানানোর কথা জানিয়েছেন, তবে ১৪ বছরের নাবালিকা কন্যা এবং তার মাকে এরকমভাবে প্রহার করার ঘটনায়। রীতিমতো নিন্দার ঝড় উঠেছে এলাকায়। গুরুতর জখম