গৃহবধূকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি

গৃহবধূকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়ি

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

গৃহবধূকে খুনের অভিযোগে পুলিস স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে। ঘটনাটি জামালপুর থানা এলাকায়। জানা যায় শ্বশুরবাড়িতে গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ধৃতদের নাম সুজিত রুইদাস ওরফে রাজ, অরূপ রুইদাস ও সোনালী রুইদাস। জামালপুর থানার আঝাপুরের পশ্চিমপাড়ায় তাদের বাড়ি। পুলিস জানিয়েছে, কালনা থানার কৈগড়িয়ার বাসিন্দা দিলীপ পাত্রর মেয়ে উির্মলার সঙ্গে মাস ছয়েক আগে সুজিতের বিয়ে হয়েছিল।

 

বিয়ের কিছুদিন পর তাঁকে বাপেরবাড়ি থেকে স্বামীর ব্যবসার জন্য টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হয়। বিষয়টি বাপেরবাড়িতে জানান উির্মলা। তাঁর বাপেরবাড়ি থেকে ৬০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। যদিও তাতে মন ভরেনি শ্বশুরবাড়ির লোকজনের। উির্মলার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু হয়। মদ্যপ অবস্থায় স্বামী তাঁকে মাঝেমধ্যেই মারধর করত। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উির্মলাকে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। তিনি ফোন করে বিষয়টি বাপেরবাড়িতে জানান। তাঁকে সেখান থেকে না নিয়ে গেলে মেরে ফেলা হতে পারে বলে ফোনে বাপেরবাড়ির লোকজনের কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করেন উির্মলা।

আরও পড়ুন – সহকারি তন্তু পাট দিয়ে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরির এক বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির

রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ উির্মলার বাপেরবাড়িতে শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে তাঁর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার কথা জানানো হয়। যদিও মেয়ে আত্মঘাতী হয়েছে বলে মানতে রাজি নন উির্মলার বাবা। তাঁর অভিযোগ, মেয়েকে খুন করে তা আত্মহত্যা বলে চালাতে দেহ টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার দিনই তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করেছে থানা। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়। এদিনই ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে সুজিতকে ৫ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। তাকে ৪ দিন পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর নিের্দশ দেন সিজেএম। বাকিদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ৩০ জুন ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন বিচারক। খুনের অভিযোগে

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top