গৃহস্থের বাড়ির থেকে উদ্ধার লুপ্ত প্রায় ইয়োলো পিট ভাইপার স্নেক। জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি ব্লকের ধীরেন দোকান এলাকার বাসিন্দা দোলন মজুমদারে শোবার ঘরে লুপ্ত প্রায় ইয়োলো পিটভাইপার সাপটি ঢুকে পড়ে। বিরল প্রজাতির সাপ দেখে আতঙ্কে চিৎকার করতেই স্থানীয় যুবকরা ছুটে আসেন। খবর চাউর হতেই এলাকার লোকজন এসে সাপটিকে দেখতে ভিড় জমায় এরপর খবর দেওয়া হয় বনকর্মীদের।
যদিও পার্শ্ববর্তী জঙল লাগোয়া এলাকায় বনকর্মীরা হাতি তাড়ানোর কাজে ব্যস্ত থাকার দরুন আসতে পারেননি বলে জানান এলাকার বাসিন্দা বাপ্পা মজুমদার। বিরল প্রজাতির সাপ উদ্ধারে সর্ব বিশেষজ্ঞদের মতে, মূলত ডুয়ার্সের চা-বাগান গুলোতে এই সাপের দেখা পাওয়া যায়। গরুমারা জাতীয় উদ্যানে ১৯৯৯ সালে সর্প সমীক্ষার সময় প্রথম এর সন্ধান মেলে। এরপর বেশ কয়েকবার ডুয়ার্সের বিভিন্ন চা বাগানে এদের সন্ধান পাওয়া যায়। এর দুটো প্রজাতি এই এলাকায় পাওয়া যায় গ্রীন পিট ভাইপার ও ইয়োলো পিট ভাইপার।
এছাড়াও আরো অন্যান্য প্রজাতির ভাইপার রয়েছে যেগুলো ডুয়ার্সে পাওয়া যায় না। উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জঙ্গলে মাঝে মধ্যে পাওয়া যায়। এরা বেশিরভাগ সময় চা-বাগানেই বসবাস করে। এই সাপ ডিম দেয় না, এই সাপ মূলত বাচ্চা প্রসব করে থাকে। এই লুপ্ত প্রজাতির সাপ খুবই বিষাক্ত হয়ে থাকে এরা কামড়ালে শরীরের লোম কূপের গড়ায় ছিদ্র দিয়ে রক্ত বের হয়ে থাকে সঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে বলে জানান স্থানীয় সর্প বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন – তৃণমূল অঞ্চল সভাপতির পশু প্রেম নজর কাড়ছে এলাকাবাসীর
এদিন সর্প বিশারদ মিন্টু চৌধুরী জানান, উত্তরবঙ্গে যখন প্রথম সর্প সমীক্ষা করা হয় ১৯৯৯ সালে, সেই সময় প্রথমবার ইয়েলো পিট ভাইপার অর্থাৎ হলুদ বোড়া সাপের হদিস পাওয়া গিয়েছিল। উত্তরবঙ্গের চা বাগান অধ্যুষিত এলাকায় দুই প্রজাতির ভাইপার সাপের দেখা মেলে। গ্রীন পিট ভাইপার এবং ইউলো পিট ভাইপার। এই সাপ প্রচন্ড বিষাক্ত। একমাত্র এই ভাইপার প্রজাতির সাপ বাচ্চা প্রসব করে, এরা ডিম দেয় না।