জাওয়াদের আতঙ্কে গেঁওখালি থেকে হাওড়ার গাদিয়াড়ার মধ্যে ফেরি সার্ভিস বন্ধ। আতঙ্ক ছিল। যদিও সতর্ক ছিল প্রশাসন। একদিকে শঙ্কার ভ্রুকুটি।অন্যদিকে কি হয় কি হয় ভাব। তাই সাধারণ মানুষের সিংহভগই ঘরবন্দী হয়েছিলেন। এর ফলে রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে বাজারে লোকজন দেখা যায়নি।
অন্যদিকে রবিবার দুপুরে গাদিয়াড়ায় গিয়ে দেখা গেল যে গাদিয়াড়ার রাস্তায় সবসময়ই কমপক্ষে শ’দেড়েক লোকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। সেটা প্রায় জনমানবশূন্য। গাদিয়াড়া থেকে লঞ্চযোগে পূর্ব মেদিনীপুরের গেঁওখালি ও দক্ষিন চব্বিশ পরগনার নূরপুরের মধ্যে যাতায়াত করা যায়। হুগলী নদী জলপথ পরিবহন সমবায় সমিতি এই ফেরি সার্ভিস পরিচালনা করে থাকেন।
শনিবারই পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা প্রশাসন এক নির্দেশনামায় গেঁওখালি থেকে হাওড়ার গাদিয়াড়ার মধ্যে ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়ায় সেভাবে মানুষ আসতে না পারায় ফাঁকা ছিল গাদিয়াড়া। হুগলি নদী পরিবহন সমবায় সমিতির গাদিয়াড়া ইউনিটের আধিকারিক উত্তম রায় চৌধুরী বলেন তাঁরা দক্ষিন চব্বিশ পরগনার নূরপুরের মধ্যে রবিবার সকালের দিকে ফেরি সার্ভিস চালিয়েছিলেন।
তবে যাত্রীদের দেখা না মেলায় ওই রুটের লঞ্চ সার্ভিস বন্ধ করে দিতে হয় বলে উত্তম জানান। অন্যদিকে গাদিয়াড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পর্য্যটন নিগম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনায় সরকারী হোটেল, এমনকি অনান্য সময়ে বানেশ্বরপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের টেঁটিখোলা পর্য্যন্ত অহরহ অটোরিকশা চলতে দেখা যায়।
আর ও পড়ুন ট্রেনে চেপেই উত্তরবঙ্গে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
রবিবার সেই রাস্তায় কোন ও অটোরিকশা চলতে দেখা যায়নি। সপ্তাহান্তে শনি ও রবিবার গাদিয়াড়ার সরকারী ও বেসরকারী হোটেলে আবাসিকদের ভীড় লক্ষ্য করা যায়। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারনে সেই সব হোটেল গুলোতে “বোর্ডারে”র সংখ্যা ছিল না বললেই চলে।
অপরদিকে গাদিয়াড়ার মত বাউড়িয়া থেকে দক্ষিন চব্বিশ পরগনার বজবজ কালীবাড়ি ঘাট পর্যন্ত ফেরি সার্ভিস চলাচল করে থাকে। ওই রুটের ইউনিট প্রধান টি আপ্পারাও বলেন রবিবার দুপুর তিনটে পর্য্যন্ত ফেরী সার্ভিস চালানো হয়েছিল। আবহাওয়া ক্রমশঃ খারাপ এবং যাত্রী না থাকায় ওই রুটের ফেরি চলাচল বন্ধ করে দিতে হয। পাশাপাশি দুর্যোগের কারনে উলুবেড়িয়া থেকে আছিপুর, গড়চুমুক থেকে দক্ষিন চব্বিশ পরগনার বুড়ুলের মধ্যে ফেরি সার্ভিস চলাচল বন্ধ রাখা হয়।



















