গোয়ালগাঁও গ্রামে গাছ কাটার অভিযোগে বনদপ্তরের ভূমিকায় প্রশ্ন। গাছ কাটার অভিযোগ উঠে আসলো পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীর বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর ২ ব্লকের তোরিয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ওয়ার্ড নাম্বার ২ এর পঞ্চায়েত সদস্যার প্রতিনিধি সামিম আখতার অবৈধভাবে গোয়ালগাঁও গ্রামের রাস্তার ধারের নয়টি গাছ কেটেছেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ করেছেন তোরিয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য নাইমুল হক, অভিযোগ করা হয়েছে গোয়ালপোখর ২ ব্লকে এবং বনদপ্তরে।
অভিযোগে তিনি জানিয়েছেন, অক্টোবর মাসের ৯ তারিখ শনিবার উক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার প্রতিনিধি বিনা অনুমতিতে, বনদপ্তরের আধিকারিকদের অনুপস্থিতিতে রাস্তার ধারের ৯ টি গাছ কেটে নিয়েছেন। অভিযোগের ভিত্তিতে ১১ তারিখ তোরিয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের প্রতিনিধির সাথে কথা বললে তিনি জানিয়েছেন, এ বিষয়ে তার কিছুই জানা নাই। তিনি আরো জানিয়েছিলেন, ঘটনার বিবরণ জানার পরে জানিয়ে দিবেন।
আরও পড়ুন- পেনশন না পাওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ দেখালেন পেনশন প্রাপকরা
অপরদিন অর্থাৎ ১২ তারিখ তোরিয়েল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের প্রতিনিধি জানান, যেখানকার গাছ কাটা হয়েছে ওই গ্রামে পয় প্রণালী তৈরি হওয়ার কথা আছে যার দরুন আলোচনার মাধ্যমে গাছ গুলি কাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। যেহেতু বৃষ্টিতে জল জমে যাচ্ছিল তাই পঞ্চায়েত সদস্যার প্রতিনিধি নিজ দায়িত্বে গাছ গুলি কাটিয়েছিলেন। অপরদিকে অভিযুক্ত গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার প্রতিনিধিকে ফোনে পাওয়া যায়নি।ফরেস্ট বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, ১২ তারিখ তিনি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন, মোট ৪ টি গাছ কাটা হয়েছে।
বর্তমানে চারটি গাছ তোরিয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতে রয়েছে। ফরেস্ট বিভাগের আধিকারিক জানিয়েছেন, আপাদকালীন অবস্থায় গাছগুলি কাটা হয়েছে, তবে গাছ কাটার অধিকার একমাত্র বনদপ্তরের কাছে রয়েছে। অন্যদিকে বেশ কয়েকদিন ধরে চাকুলিয়ার ঘোড়ামারা ব্রিজের পাশে দমকা হাওয়ায় একটি বিশালাকার গাছ ধানের জমিতে পড়ে রয়েছে। ধান মালিকের ব্যাপক ক্ষতিও হয়েছে কিন্তু এই আপাৎকালীন অবস্থায় তিনি ওই গাছ সরাতেও পারছেন না। স্বাভাবিকভাবেই প্রশাসনের ভূমিকার উপর একাধিক প্রশ্ন উঠছে এই গাছ কাটার বিষয়টিতে