রাজ্য – গোর্খাল্যান্ডের জন্য পৃথক প্রশাসনিক কাঠামোর দাবি থেকেই তৈরি হয়েছিল জিটিএ। সেই জিটিএ-এর বিষয়গুলোতে রাজ্য বরাবরই মধ্যস্থতার ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু সেই মধ্যস্থতাকেই কেন্দ্র হাতে তুলে নেওয়ায় নতুন করে সংঘাতে জড়াল রাজ্য ও কেন্দ্র। দার্জিলিং, তরাই ও ডুয়ার্সের গোর্খাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রাক্তন আইপিএস পঙ্কজকুমার সিংহকে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে নিয়োগ করেছে। আর সেই নিয়োগেই আপত্তি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চার পাতার কড়া চিঠি পাঠালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, জিটিএ-র আলোচনায় প্রাক্তন আমলাদের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে বারবার ব্যবহার করে তাঁদের মধ্যে কেন্দ্রের প্রতি একপ্রকার আনুগত্য তৈরি করা হচ্ছে। পাশাপাশি, এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে রাজ্যের সঙ্গে কোনও পরামর্শ করছে না স্বরাষ্ট্র দফতর। গতমাসেও একই বিষয়ে মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তখন প্রধানমন্ত্রীর দফতর জানিয়েছিল, বিষয়টি বিবেচনার জন্য স্বরাষ্ট্র দফতরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবুও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি বলে অভিযোগ। রাজ্যের দাবি, কোনও আলোচনাই না করে কেন্দ্র আবার মধ্যস্থতাকারীকে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছেন—এ সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, যা পাহাড়ের শান্তি ও স্থিতাবস্থাকে বিপন্ন করতে পারে। প্রায় এক মাস পর ফের নয়াদিল্লিতে পাঠানো সরকারি চিঠিতে কেন্দ্রের এই একতরফা ভূমিকার তীব্র বিরোধিতা করেছেন তিনি।
এদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর অবস্থানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। মোদীর দফতরে পাঠানো মমতার চিঠিকে তিনি ‘ফালতু’ বলে কটাক্ষ করে জানিয়েছেন, কেন্দ্র যা করেছে আইন বুঝেই করেছে এবং মধ্যস্থতাকারী হিসেবে একজন প্রাক্তন আইপিএস নিয়োগে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য খোঁজার প্রয়োজন নেই।




















