ফের প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল! মালদার সেবা সপ্তাহ অনুষ্ঠান কর্মসূচি ঘিরে ক্ষোভ বিজেপি কর্মীদের একাংশের। মালদা জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে বিজেপির সেবা সপ্তাহ কর্মসূচি। গত দু’দিন ধরে মালদার চাচোল চলছে এই কর্মসূচি। আর এই কর্মসূচি ঘিরে প্রকাশ্যে এলো বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল। দলের পুরোনো কার্যকর্তাদের দলীয় কোনো কর্মসূচিতে ডাক দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের একাংশের। চাচলে 11 নম্বর জেলা পরিষদের প্রাক্তন পর্যবেক্ষক তথা বিজেপি নেতা প্রসেনজিৎ শর্মা বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় জনতা পার্টি করছি। বিধানসভায় আমরা ভোট করিয়েছি। কিন্তু আমাদেরকে কোণঠাসা করে নতুন কমিটি প্রোগ্রাম করছে আমাদেরকে কোন খবর দেওয়া হচ্ছে না।
এইভাবে পার্টি চললে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে কর্মী খুঁজে পাওয়া যাবে না। সেবা সপ্তাহ কার্যক্রমের কোন সূচনা আমাদেরকে দেওয়া হয়নি। কার্যত আমাদের মত কর্মীদের সাথে বহিষ্কৃতদের মতো আচরণ করছে নেতৃত্ব।” এ প্রসঙ্গে আরেক বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা তথা 12 নম্বর জেলা পরিষদ মন্ডলের প্রাক্তন সম্পাদক সন্দীপ পান্ডে বলেন, “যে সমস্ত কর্মীরা গ্রাউন্ড থেকে বিধানসভা ভোট পর্যন্ত একটা হাওয়া তৈরি করেছিল।
এখনো আমরা যারা লড়াই করে যাচ্ছি প্রতিবাদী মুখ তাদেরকে কোণঠাসা করা হচ্ছে। পার্টি যে পদ্ধতিতে চলছে যেখানে কোন মিটিং নিয়ে আলোচনা নেই সাংগঠনিক কথাবার্তা নেই। এইভাবে চললে পঞ্চায়েত নির্বাচনে পার্টিকে সমস্যায় পড়তে হবে।” যদিও এই বিষয়ে 12 নম্বর জেলা পরিষদের বিজেপির মন্ডল সভাপতি দেবনাথ পান্ডে বলেন, “সবাইকে জানিয়ে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “ধানের মধ্যে যেমন পাতান থাকে তেমন পার্টির মধ্যে দুএকজন এরকম থাকে। তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। এতে দলের কোনো ক্ষতি হবে না।”
আর ও পড়ুন ভুয়ো নীল বাতি গাড়ি আটক করল পুলিশ, গ্রেফতার চালক
অন্যদিকে, গোষ্ঠী কোন্দল এর বিষয়টি মানতে নারাজ জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, “বিষয়টি শুনেছি, তবে এই ধরনের কোন মতপার্থক্য আমাদের মধ্যে নেই। সাংগঠনিক বিভেদ কিছু নেই। কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকতে পারে, আলোচনার মাধ্যমে কিভাবে মিটিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।” যদিও বিজেপির এই অন্তঃকলহকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে উত্তর মালদা সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, “বিষয়টি শুনেছি, তবে এই ধরনের কোন মতপার্থক্য আমাদের মধ্যে নেই।
সাংগঠনিক বিভেদ কিছু নেই। কিছু ভুল বোঝাবুঝি হয়ে থাকতে পারে, আলোচনার মাধ্যমে কিভাবে মিটিয়ে নেওয়া যায় সে বিষয়টি দেখা হচ্ছে।” যদিও বিজেপির এই অন্তঃকলহকে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। চাচোল 1 নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সচ্চিদানন্দ চক্রবর্তী বলেন, “সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই বিজেপির মধ্যে অন্তঃকলহ চলছে। যারা পুরনো কর্মী সততার সাথে দলটা করত তারা আজ তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করছে। চাঁচলে আমরা দেখতে পাচ্ছি আস্তে আস্তে এই দলটা মুছে যাবে।”