অধিকারী গড় কাথিতেও উড়লো তৃণমূলের পতাকা । কাঁথি পুরসভা থেকে মুছে গেল অধিকারী পরিবারের নাম। এতদিন কাঁথি পুরসভায় ‘রাজত্ব’ করত অধিকারী পরিবার। কিন্তু বিধানসভা ভোটের আগে শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তাই কাঁথি পুরসভার দিকে আলাদা নজর ছিল। কিন্তু ২১ ওয়ার্ডের কাঁথি পুরসভায় তৃণমূল জিতেছে ১৮ ওয়ার্ডে। বিজেপি পেয়েছে মাত্র দুটি আসন। নির্দল পেয়েছে একটি।
উল্লেখযোগ্য, শুভেন্দুর বাড়ি যে ওয়ার্ডে, অর্থাৎ যে ওয়ার্ডের ভোটার অধিকারী পরিবার, সেই ১৫ নং ওয়ার্ডে জিতেছে তৃণমূল। জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী তনুশ্রী চক্রবর্তী ভট্টাচার্য। হেরেছেন কাঁথি উত্তরের বিজেপি বিধায়কও। রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি বলেছেন, ‘অধিকারী পরিবার দীর্ঘদিন কাঁথি পুরসভায় একচ্ছত্র শাসন করেছে। দুর্নীতি করেছে। কাঁথির মানুষ তার বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে।’
এদিকে অধিকারী পরিবারের সদস্য দিব্যেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘জয়–পরাজয় তো থাকবেই। তাছাড়া কাঁথি পুরসভা নিয়ে মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন।’ ১৩ নং ওয়ার্ডে জিতেছেন রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির ছেলে সুপ্রকাশ গিরি। কাঁথি পুরসভার নতুন চেয়ারম্যান কে হবেন? দলই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন অখিল।
আর ও পড়ুন প্রেমিকাকে শ্বাসরোধ করে খুন করে কুলতলি থানায় আত্মসমর্পণ প্রেমিকের
তবে শোনা যাচ্ছে অখিল গিরির ছেলে সুপ্রকাশ গিরির নাম। তাঁকে সামনে রেখেই কাঁথি পুরভোটে লড়েছিল তৃণমূল। শিশির অধিকারীর হাত ধরে কাঁথি পুরসভায় যাত্রা শুরু করেছিল অধিকারী পরিবার। ১৯৬৯ সাল থেকেই কাঁথি পুরসভার সঙ্গে জড়িয়ে অধিকারী পরিবার। ১৯৬৯ সালে কমিশনার হিসাবে কাঁথি পুরসভায় প্রথম পা রাখেন শিশির। তখন থেকে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত পুরসভার চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি।
তারপর ১৯৮৬–২০০৯ পর্যন্ত ফের পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। এরপর বাবার ছেড়ে যাওয়া আসনে ২০১০–২০২০ পর্যন্ত বসেছিলেন সৌম্যেন্দু। ২০২০ সালের পর ওই পুরসভার প্রশাসকও হন সৌম্যেন্দু। সেই জমানা এবার শেষ হল। কাঁথি পুরসভা অধিকারীদের হাত থেকে কেড়ে নিল তৃণমূল।