ঘরে বাইরে চাপে অখিল, পাশে নেই দল। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদি মুর্মু’কে উদ্দেশ্য করে কুরুচিকর মন্তব্য করে ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ল রামনগরের তৃনমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কারামন্ত্রী অখিল গিরি। তাঁর এই মন্তব্যের থেকে দায় এড়িয়েছে তৃনমূল। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে এফআইআর দায়ের হয়েছে রাজ্যের প্রতিটি থানায়। এরই পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে বিজেপির মহিলা কর্মীরা প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছেন বলে জানা গেছে।
তবে নিজের মন্তব্যের জন্য অনুতপ্ত অখিল । আবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, “আমি অনুতপ্ত, তবে ক্ষমাপ্রার্থী বলবেন না”। অখিলের দাবী, “আমাকে হাফপ্যান্ট মন্ত্রী, কাকের মতো দেখতে বলে কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁকে কটাক্ষ করতে গিয়েই রাষ্ট্রপতি প্রসঙ্গ চলে এসেছিল। কিন্তু আমি চেয়ারকে সম্মান করি। উনি একজন সাংবিধানিক প্রধান। তাই ওনাকে অসম্মান করতে পারি না”।
অখিল গিরি’র এই মন্তব্যে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূলের তরফে ট্যুইটে দাবী জানানো হয়েছে, “দেশের মহিলা রাষ্ট্রপতি শ্রীমতি দ্রৌপদী মুর্মুর প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল। মন্ত্রীর অখিল গিরি রাষ্ট্রপতি সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তার কঠোর বিরোধীতা করছি আমরা। নারীর ক্ষমতায়নের যুগে এ ধরনের দুর্ব্যবহার গ্রহণযোগ্য নয়।
অন্যদিকে অখিল গিরি’র বয়ানকে হাতিয়ার করে তৃনমূল বিরোধী আক্রমণে ঝাঁজ বাড়িয়েছে বিজেপি।
বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব অখিলের বিধায়ক পদ বাতিলের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এই ঘটনায় জাতীয় মহিলা কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছেন। এরই পাশাপাশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অখিলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন।
নিজের ট্যুইটে শুভেন্দু দাবী জানিয়েছেন, “এই মুহূর্তে রাজ্যপাল লা গণেশণ রাজ্যের বাইরে রয়েছেন। কিন্তু বিধায়ক অখিল গিরিকে বরখাস্ত করার বিষয়ে রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য দ্রুত অ্যাপয়েন্টমেন্ট চেয়েছি। মাননীয় রাষ্ট্রপতির প্রতি অবমাননাকর মন্তব্য করার পর তিনি মন্ত্রী হিসেবে বহাল থাকার নৈতিক কর্তৃত্ব হারিয়েছেন”।