ঘর থেকে রক্তাক্ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার

ঘর থেকে রক্তাক্ত বৃদ্ধ-বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নিজস্ব সংবাদদাতা, উত্তর ২৪ পরগনা, ২৩ ডিসেম্বর, বৃদ্ধ বৃদ্ধা দম্পতির ঘর থেকে রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার। দুজনের দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন। ঘটনাটি অশোকনগর থানার দিঘরা মালিকবেরিয়া পঞ্চায়েতের হাট নপাড়া শ্মশান এলাকার ঘটনা। মৃত বৃদ্ধ মদন নন্দী ৯৩ বছর ও বৃদ্ধা অর্চনা নন্দী ৬৭ বছর বয়স।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, বৃদ্ধর প্রথম পক্ষের দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে যারা কলকাতায় থাকেন তবে মাঝে মধ্যে এই বাড়িতে আসতেন।তবে বছর তিরিশেক আগে প্রথম পক্ষের স্ত্রীর মৃত্যুর পর অর্চনা নন্দী নামে এই মহিলাকে বিয়ে করেন।তাদের বছর আঠাশের এক ছেলে রয়েছে।বয়স্ক বাবা-মা তাকে নিয়েই বর্তমান ছেলে দীপঙ্কর নন্দী এই বাড়িতে থাকতেন।দীপঙ্কর রবিবার দুপুরে পিকনিকে যায় সেখান থেকে ফিরে এসে ক্লাবে ভলিবল খেলছিল। খেলে বাড়ি ফিরে এসে দেখে মা বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পরে আছে সাথে সাথে ক্লাবে ছুটে গিয়ে সবাইকে খবর দেয়।

পরবর্তীতে অশোকনগর থানার পুলিশ গিয়ে দেহ উদ্ধার করে অশোকনগর হাসপাতালে নিয়ে আসে। ঘটনায় রাতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরে এলাকায়। সোমবার সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা গেল এলাকার বাসিন্দারা ভিড় করছে বাড়ির সামনে। বাড়ির লাগোয়া আমবাগানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে মদের গ্লাস ,মদের বোতল সহ মদ খাওয়ার সরঞ্জাম। এলাকার বাসিন্দারা জানায় দুষ্কৃতীদের এখানে অবাধ যাতায়াত রয়েছে। এলাকার মহিলারা রাস্তা থেকে চলতে ভয় পায়। শ্লীলতাহানি বা ছিনতাইয়ের মতো ঘটনার শিকার হয়েছে একাধিকবার। প্রকাশ্য দিবালোকে শুরু হয়ে গভীর রাত পর্যন্ত বাড়ির লাগোয়া বাগানে চলে মদের আসর, জানায় এলাকার মেয়েরা। রাস্তার স্ট্রীট লাইট বন্ধ করে দিয়ে চলে দুষ্কর্ম এমনটাই জানিয়েছে তারা। দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না।এলাকায় কোনরকম পুলিশি টহল নেই তাই পুলিশি নিরাপত্তা দাবি করছে তারা। তবে কি দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য বা কোন কুকীর্তি দেখে ফেলেছিল এই বৃদ্ধ-বৃদ্ধা এ কারণে কি তাদের খুন হতে হল। না কি ঘটনার পেছনে অন্য কারণ রয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত করছে অশোকনগর থানা। আজ দুপুরে দুজনের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসাত হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top