রাজ্য – দক্ষিণ ভারতের উপকূলে দাপট দেখিয়ে শ্রীলঙ্কা তছনছ করে এগিয়ে এসেছিল ঘূর্ণিঝড় ‘দিতওয়া’। তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রপ্রদেশে বেশ কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটানোর পর এর গতিপথ ঘুরে বঙ্গোপসাগরের দিকে আসতে শুরু করে। শীতের শুরুতেই ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কায় হতাশ হয়েছিল অনেকেই। তবে হাওয়া অফিস আশ্বস্ত করেছে—উপকূলেই শক্তি হারাবে ঘূর্ণিঝড় দিতওয়া, ফলে রাজ্যের আবহাওয়ায় বড় কোনও বিপর্যয় বা শীতের ব্যাঘাত ঘটবে না।
আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা দিতওয়া এখন উপকূলের অত্যন্ত কাছাকাছি থাকলেও স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা নেই। এটি তামিলনাড়ু ও পন্ডিচেরি উপকূলের প্রায় ২০ থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও ঘূর্ণাবর্ত হরিয়ানার উপর সক্রিয় হলেও তার কোনও প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে না বাংলার আবহাওয়ায়।
দক্ষিণবঙ্গে রাতের তাপমাত্রা খানিকটা বেড়েছে এবং সকালের দিকে হালকা কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে। দু-এক জায়গায় দৃশ্যমানতা ২০০ মিটারের কাছাকাছি নামতে পারে। পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ১৪-১৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের ঘরে নেমে এসেছে, ফলে ডিসেম্বরের শুরুতেই সেখানে জাঁকিয়ে শীত উপস্থিত। আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
উত্তরবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই। স্বাভাবিকের কাছাকাছি তাপমাত্রা বজায় থাকবে। সকালে ও রাতে শীত অনুভূত হলেও দিনের বেলা ঠান্ডা তুলনামূলক কম। দার্জিলিংয়ে তাপমাত্রা প্রায় ৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারসহ পার্বত্য এলাকায় কুয়াশা আরও বাড়তে পারে।
কলকাতা এবং আশপাশের জেলাগুলিতেও শীতের আমেজ জমে উঠেছে। হালকা কুয়াশার মধ্যে সকাল-সন্ধ্যায় সামান্য ঠান্ডা কম অনুভূত হলেও আকাশ বেশিরভাগ সময়ই পরিষ্কার। সোমবার কলকাতার তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রির ঘরে থাকলেও মঙ্গলবার থেকে তা হ্রাস পাবে। সপ্তাহান্তে কলকাতার তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এবং পশ্চিমের জেলাগুলিতে ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে যেতে পারে। রবিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬.৯ ডিগ্রি এবং সর্বনিম্ন ১৮ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা ৪৮ থেকে ৯৪ শতাংশের মধ্যে ওঠানামা করেছে।




















