পেট্রো্পোল ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে আটকে রয়েছে শয়ে শয়ে পণ্যবাহী ট্রাক

পেট্রো্পোল ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে আটকে রয়েছে শয়ে শয়ে পণ্যবাহী ট্রাক

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram
ঘোজাডাঙ্গা

পেট্রো্পোল ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে আটকে রয়েছে শয়ে শয়ে পণ্যবাহী ট্রাক।  দীর্ঘদিন ধরে পেট্রো্পোল ঘোজাডাঙ্গা সীমান্তে আটকে রয়েছে বাংলাদেশের চালান বহনকারী ট্রাক। রপ্তানিকারকরা জানিয়েছেন, রপ্তানি পণ্যবাহী ট্রাকগুলি একমাসের বেশি সময় ধরে আটকে রয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে তা ৫৫ দিন পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। তবে এই ট্রাক আটকে থাকার পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে।

 

ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ান রপ্তানির (‌পূর্ব)‌ চেয়ারম্যান সুশীল পাটওয়ারি জানিয়েছেন যে উভয় দেশের রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং পুজোর ছুটি এই সমস্যার জটিলতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার পেট্রোপোল বাংলাদেশের সঙ্গে সবচেয়ে বৃহৎ স্থল বাণিজ্য সীমানা, যেখানে ২০ হাজার কোটি টাকার ওপর বাণিজ্য হয়। একই জেলায় অবস্থিত ঘোজাডাঙাও। বাণিজ্য ও যাত্রী পারাপারের ক্ষেত্রে পেট্রোপোল–বেনাপোল (‌বাংলাদেশ)‌ খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থল সীমান্ত দুই প্রতিবেশী দেশের জন্য। এর আগে সীমান্ত ক্রসিংয়ে টাক আটকে রাখার সময় সীমা ছিল ১৫ দিনের। কিন্তু তা এখন একমাসে গিয়ে ঠেকেছে বলে জানিয়েছেন পাটওয়ারি।

 

তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে প্রায় ২৫০টি রপ্তানি কার্গো সহ ট্রাক সীমান্ত পার করেছে কিন্তু শুল্ক কর্মকর্তারা একটি প্রচেষ্টা করলে এই সংখ্যাটা বাড়তে পারে।  ঘোজাডাঙায় রপ্তানির জন্য আটক করার সময় ৫৫ দিনে পৌঁছেছে। বেনাপোলের সিএফ সেক্রেটারি সাজিদুর রহমান জানিয়েছেন যে পেট্রাপোলে ট্রাক আটকের সমস্যা বেড়ে গিয়েছে এবং ভারত ও বাংলাদেশি ট্রাক রপ্তানি কার্গো সহ গ্রহণ করছে না যার ফলে সীমান্তের দুই পাশে হাজার হাজার ট্রাক সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে।

 

আর ও পড়ুন     বাংলাদেশের হিংসা নিয়ে শেখ হাসিনাকে খোলা চিঠি লিখলেন তসলিমা

 

যদিও উভয় দেশের রপ্তানিকাররা জানিয়েছেন যে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর সম্প্রতি হওয়া হামলার প্রভাব কোনওভাবেই উভয় দেশের বাণিজ্যের ওপর পড়েনি। বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিও লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে এবং বাংলাদেশি পণ্য নিয়ে পেট্রাপোল অতিক্রমকারী ট্রাকের সংখ্যা আগের ১৫০–এর চেয়ে বেড়ে ২০০–২৫০–তে দাঁড়িয়েছে।

 

অন্যদিকে, বেনাপোল স্থলবন্দরের ওপারে পেট্রাপোলে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আমদানি পণ্য নিয়ে আটকা পড়েছে পাঁচ হাজারেরও বেশি ট্রাক। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, অর্থ আদায়ের জন্য সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এ পণ্যজট তৈরি করা হয়েছে। এতে পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকায় বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের ট্রাকপ্রতি দৈনিক ২ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হচ্ছে। এই হিসাবে প্রতিদিন বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ১ কোটি টাকা জরিমানা আদায় করছে এই সিন্ডিকেট।

RECOMMENDED FOR YOU.....