কলকাতা – গবেষণা থমকে নেই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। এবার চন্দননগরের প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো জগদ্ধাত্রী পুজো হেরিটেজ তকমা পাওয়ার পথে। এই বিষয়েই চলছে যৌথ গবেষণা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও ইউনিভার্সিটি অব লিভারপুলের উদ্যোগে। পুজোর আলো, মূর্তি ও শোলার কাজ—সবই এক অনন্য ঐতিহ্যের অংশ, যা উঠে আসছে বিশদ গবেষণায়।
গবেষণায় পূর্বতন ফরাসি উপনিবেশের ঐতিহাসিক অংশগুলোর উল্লেখও রয়েছে। ইউনেস্কোর মাপকাঠি অনুযায়ী কাজ হওয়ায় ভবিষ্যতে চন্দননগরের এই জগদ্ধাত্রী পুজো ইন্টারন্যাশনাল কালচারাল হেরিটেজ তকমা পেতে পারে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা রাহি সোরেন বলেন, “পুজো বিভিন্ন ভাষাভাষীর মানুষের মধ্যে আদান-প্রদানের এক বড় স্থান। শোলার কাজ, আলো, সব ক্ষেত্রেই জগদ্ধাত্রী পুজোর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে।”
চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো নদিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে পালিত হয়। বহু মানুষের সমাগম ঘটে এবং পুরনো রীতিনীতি মেনে দেবী আরাধনা চলে। ইতিহাস ও সংস্কৃতির সঙ্গে আধুনিক গবেষণার সংমিশ্রণে এই পুজোকে বিশ্বমানের স্বীকৃতি দেওয়ার আশা জাগছে।
