বিনোদন – শোকস্তব্ধ বলিউড, স্তব্ধ গোটা দেশ। ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের এক সোনালি অধ্যায়ের অবসান ঘটালেন কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্র। মঙ্গলবার সকালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই প্রজন্মের অগণিত দর্শকের প্রিয় তারকা। তাঁর প্রয়াণে নেমে এসেছে শোকের ছায়া, যেন আলো হারিয়েছে রূপালি পর্দা।
দীর্ঘ অভিনয় জীবনে একের পর এক হিট ছবি উপহার দিয়েছেন ধর্মেন্দ্র—মোটের ওপর ২৪৭টি সিনেমা তাঁর কেরিয়ারকে করেছে অনন্য। ‘শোলে’-র অমর জয়-ভিরু জুটিও আজ ভেঙে গেল চিরতরে। বয়সের ভারে নুয়ে পড়লেও মন ও মনের জোরে ছিলেন একেবারে তরুণ। গত কয়েক মাস ধরে বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। প্রথম পক্ষের স্ত্রী প্রকাশ কৌরের সঙ্গেই শেষ দিনগুলো কাটাচ্ছিলেন অভিনেতা। ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছিলেন, কিন্তু হঠাৎ করেই পরিস্থিতি পাল্টে যায়।
কয়েকদিন আগে তাঁকে রুটিন চেকআপের জন্য ভর্তি করা হয় মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে। সোমবার বিকেল থেকেই হাসপাতাল চত্বরে উদ্বেগ বেড়ে যায়। জানা যায়, তাঁকে আইসিইউতে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে এবং চিকিৎসার জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড। সমস্ত চিকিৎসা চললেও শেষ পর্যন্ত তাঁকে আর বাঁচানো যায়নি।
আগামী ডিসেম্বরেই পা রাখতেন নব্বই বছরে। অথচ এখনও পর্যন্ত কাজের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল অপরিসীম। করণ জোহরের ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি’ ছবিতে জয়া বচ্চন ও শাবানা আজমির সঙ্গে তাঁর অভিনয় এক নতুন প্রজন্মকেও মুগ্ধ করেছিল। সদ্য প্রকাশ্যে এসেছিল তাঁর পরবর্তী ছবির ঝলকও, কিন্তু ভাগ্য যেন সেখানে পূর্ণবিরতি টেনে দিল।
ধর্মেন্দ্রর অসুস্থতার খবর ছড়িয়ে পড়তেই হেমা মালিনি তড়িঘড়ি হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন। হাসপাতালের বাইরে তখন ভিড় জমেছিল অসংখ্য অনুরাগীর। সকলেই একটাই প্রার্থনা করছিলেন—তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সকলকে কাঁদিয়ে, চিরবিদায় নিলেন রূপালি পর্দার চিরসবুজ হি-ম্যান ধর্মেন্দ্র।
ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে তাঁর অবদান অমলিন থেকে যাবে চিরকাল। এক যুগ, এক আবেগ, এক নায়ক—আজ তিনি শুধুই স্মৃতির আলোয়।




















