নদিয়া – নদিয়ার চাকদহ এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে ৪৩ বছরের গৃহবধূ মমতা চক্রবর্তীর মৃতদেহ। তাঁর গয়নাগাঁটিও উধাও বলে জানা গেছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
চাকদহ থানার পুমলিয়া এলাকার মমতা চক্রবর্তীর স্বামী সমীর চক্রবর্তী কর্মসূত্রে মধ্যপ্রদেশে হোটেলের ম্যানেজার হিসেবে নিযুক্ত। একমাত্র সন্তান সোহন চক্রবর্তী অন্ধ্রপ্রদেশের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমবিএ পড়ছেন। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ছেলে ও স্বামী ভিনরাজ্যে থাকায় মমতা একাই থাকতেন। একই বাড়ির একতলায় এক মহিলা তার সন্তানকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন।
শুক্রবার রাতে ছেলে সোহন মাকে বহুবার ফোন করেছিলেন, কিন্তু মমতা ফোন ধরেননি। রবিবার সকালে পুনরায় যোগাযোগ করতে না পেরে তিনি নিচের ভাড়াটিয়াকে ফোন করেন। এরপর উপরে গিয়ে দেখা যায়, মমতা খাটের উপর হাত-পা ছড়ানো অবস্থায় চিত হয়ে পড়ে রয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানিয়েছে, মমতার শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন এবং গলায় দাগ রয়েছে। তাঁর সোনার গয়না শরীরে নেই। পুলিশও প্রশ্ন তুলেছে, গৃহবধূকে কি শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে? নাকি অন্য কোনও ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে হত্যার ঘটনা ঘটেছে?
মৃতদেহ উদ্ধার করে আজ সোমবার কল্যাণী জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের পুলিশ মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পরিবারের তরফ থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুজোর আগে এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে, পুলিশ এখন খোঁজার চেষ্টা চালাচ্ছে।
