চাকরি ও লোন দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

চাকরি ও লোন দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

চাকরি ও লোন দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ। চাকরি ও লোন দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে তৃনমূলের রাজ্য কমিটির সংখ্যালঘু সেলের রাজ্য সম্পাদককে ক্লাবে আটকে রাখলেন তৃনমূলের নেতা কর্মীরাই।টাকা চাইতে গিয়ে ওই তৃনমূল নেতার সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন উভয় পক্ষ। অপরদিকে খবর সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকের কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন ওই প্রতারক তৃনমূল নেতা ও তার পরিবারের লোকেরা।

 

এমনকি মোবাইলে সাংবাদিকদের ছবি ও ভিডিও করে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন ওই তৃনমূল নেতার স্ত্রী দুলালী খাতুন।শেষমেষ ৩০ হাজার টাকার চেক ধরিয়ে সেখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায় ওই তৃনমূল নেতা বলে খবর।ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বিকেলে হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভবানীপুর ব্রীজে।

 

জানা যায় ওই তৃনমূল নেতার নাম মসিউর রহমান।বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের বরুই গ্রাম পঞ্চায়েতের মিঠাপুকুর গ্রামে।এদিন ভবানীপুর ব্রীজে নাগরিক কল্যান সমিতির ক্লাবে ঘন্টা তিনেক আটকে রাখেন তৃনমূলের নেতা কর্মীরা।খবর পেয়ে ওই তৃনমূল নেতার স্ত্রী সহ তার পরিবারের লোকেরা ছুটে আসেন। স্থানীয়দের অভিযোগ,এলাকার শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের কাছ থেকে লোন ও চাকরি দেওয়ার নাম করে ওই তৃনমূল নেতা লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে রেখেছে বলে অভিযোগ। কাউকে লোন ও চাকরি দিতে পারেনি।

 

টাকা ফেরত চাইতে গেলে অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে কথা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ফোনে তাকে পাওয়া তো দূরের কথা এলাকায় তাকে দেখা যেতো না।মুখে মাস্ক লাগিয়ে গা ঢাকা দিয়ে রাস্তায় চলাফেরা করত।এদিন তুলসীহাটা এক রাষ্ট্রীয়ত্ব ব্যাংকে টাকা তুলতে আসলে এক তৃনমূল কর্মী তাকে দেখে ফেলে।সেখান থেকে তাকে ক্লাবে এনে আটক করে রাখে বলে খবর। আটক তৃনমূল নেতা মসিউর রহমান এই ব্যাপারে কিছুই জানাতে চাননি। উপরন্তু সাংবাদিকদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। তৃনমূল কর্মী সোপান আলি জানান, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে লোন করিয়ে দেওয়ার নাম করে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সে।

 

লোন করে দিতে পারেনি। ফোন করলে ফোন তুলে না।এলাকায় মুখে মাস্ক লাগিয়ে লুকিয়ে লুকিয়ে বেড়াত। এইরকম এলাকার শত শত শিক্ষিত যুবক যুবতীর কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারনা করেছে সে।তৃনমূল কংগ্রেসের বদনাম করছে এই ধরনের নেতা।দলকে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লক সভাপতি মানিক দাস জানান,দল এই ধরনের দুর্নীতিকে কখনো প্রশ্রয় দেয় না।আইন আইনের পথে চলবে। জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী জানান, ঘটনার কথা জানা নেই,দলীয় নেতৃত্বের কাছ থেকে শুনে তবে কোনো মন্তব্য করতে পারবেন।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top