চার দিন ধরে নিখোঁজ এক ব্যাক্তির দেহ উদ্ধার হল একটি পরিত্যক্ত সেপটিক ট্যাংক থেকে। মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানা এলাকায় এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে নাম প্রহ্লাদ ঘোষ ওরফে কালু(৩৮)তার বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার বীরনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুকুন্দটোলা গ্রামে
গলা কেটে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ মৃত ব্যাক্তির পরিবারের। অভিযোগের ভিত্তিতে মৃত ব্যাক্তি ব্যবসায়ী পার্টনারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ১১ তারিখ রাত আট টার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন প্রহ্লাদ ঘোষ ওরফে কালু ঘোষ। সেদিন রাতে তার বন্ধু তপন দাস তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি। সম্প্রতি প্রহ্লাদ ঘোষ ও তপন দাস দুজনে মিলে একটি দশ চাকার লরি ক্রয় করেছিলেন।লরি ক্রয় বাবদ বেশ কিছু টাকা বাকি ছিল।সেদিন রাতে 3 লক্ষ 90 হাজার টাকা লরির মালিক কে দেওয়ার জন্য বাড়ি থেকে নিয়ে বের হয়েছিলেন প্রহ্লাদ ঘোষ ।
আরও পড়ুন – সহকারি তন্তু পাট দিয়ে বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরির এক বিশেষ প্রশিক্ষণ শিবির
তার সঙ্গে ছিলেন তপন দাস।তারপর রাতভর বাড়ি না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।কিন্তু কোথাও খোঁজ খবর না মেলায় গত 13 তারিখে পরিবারের পক্ষ থেকে বৈষ্ণবনগর থানায় মিসিং ডায়েরি করা হয়। তপন দাস তার সঙ্গে ছিল বলে উল্লেখ ও করা হয়। তারপরই পুলিশ তদন্তের জন্য তপন দাস কে আটক করে জেরা করে। এরপরেই মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। টাউনশিপের মধ্যেই পরিত্যক্ত এক সেফটি ট্যাংকের উপরের পাটাতন ভেঙে প্রায় আট ফুট নিচে থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
বীরনগরের মুকুন্দ টোলার গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী সুকিল ঘোষ বলেন, কালু ঘোষ কে খুন করা হয়েছে বলেই আমরা মনে করছি। কারণ মৃতদেহে তোলার সময় লক্ষ্য করা গিয়েছে তাঁর গলা ঝুলে রয়েছে। যদিও আমরা জানতে পারছি তপন দাস কে গ্রেপ্তারের পর ই মৃত দেহের সন্ধান মিলেছে। তাই আমরা মনে করছি পুলিশ যথাযথ তদন্ত করে সঠিক তথ্য বের করুক। এবং দোষীদের আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।