চার পুরসভায় ভোটের দিন ঘোষণা, কবে হবে ভোট। আগামী ২২ জানুয়ারি ভোট হবে বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর এবং আসানসোল পুরসভায়। যার জন্য কাল থেকেই শুরু হয়ে যাবে মনোনয়ন। গণনা ২৫ জানুয়ারি। সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানালেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। গত কয়েকদিন আগেই কলকাতা পুরসভায় ভোট হয়েছে। কার্যত সন্ত্রাসের আবহেই ভট হয়েছে। ফলে এই চার পুরসভায় ভোট শান্তিপূর্ণ করানোটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ কমিশনের কাছে। আজ সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনে সর্বদল বৈঠক ছিল। যদিও সেই বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে আসে বিজেপি এবং বামেরা।
আর এরপরেই সাংবাদিক বৈঠক করে চার বকেয়া পুরসভায় ভোটের দিন ঘোষণা করেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার। কমিশনার সৌরভ দাসের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২২ জানুয়ারি ভোট হবে চার পুরসভাতে। বিধাননগর পুরসভাতে ৪১টি ওয়ার্ডে, চন্দননগর পুরসভাতে ওয়ার্ড সংখ্যা ৩৩, শিলিগুড়ি পুরসভার ৪৭টি এবং আসানসোলের ১০৬ ওয়ার্ডে এই নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। আর সেই মতো আজ সোমবার থেকেই আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি লাঘু হয়ে গেল এই সমস্ত পুরসভা এলাকাতে। আগামীকাল মঙ্গলবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। সেই মতো মঙ্গলবার থেকেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে।
আর ও পড়ুন বিজেপিতে রাজ্যজুড়ে বিদ্রোহের আঁচ ছড়িয়ে পড়েছে
মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন ৩ জানুয়ারি। বাকি চার পুরসভার ভোটের দিন ঘোষণা হলেও হাওড়া নিয়ে সিদ্ধান্ত জানাল না কমিষন। তবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের মধ্যে রাজ্যপাল হাওড়া বিলে সই করলে আগামী ২২ জানুয়ারি এই পুরসভাতেও ভোট হতে পারে। হাওড়া নিয়ে রাজ্য কিছু জানায়নি বলেই ভোটের দিন ঘোষণা করা হল না। প্রসঙ্গত হাওড়া সংশোধনী বিলে এখনও সই করেননি রাজ্যপাল। ফলে হাওড়া এবং বালি পুরসভায় নির্বাচনের ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা রয়েছে।
কলকাতা পুরভোট কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে করার দাবি তুলেছিল বিজেপি। এবার রাজ্যের বাকি ৪ পুরসভার ভোটে কি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে? এই প্রসঙ্গে কমিশনের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনা করে জানানো হবে। তবে ভোট নিয়ে ৪ জানুয়ারি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে থাকবেন জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনার। পাশাপাশি ভোটের দিন সব বুথে সিসিটিভি থাকবে বলেই জানিয়েছে কমিশন।