নিজস্ব সংবাদদাতা,দক্ষিণ ২৪ পরগনা,১৬ ই অক্টোবর:চাহিদামতো টাকা না মেলায় জামাইকে মারধরের অভিযোগ উঠল শশুর সহ পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে। ক্যানিং থানার রাজাপুর বৈদ্যপাড়া এলাকার ঘটনা। গতরাতে স্ত্রীর ফোন পেয়ে শ্বশুর বাড়ি যায় ত্রিদিব বৈদ্য। শ্বশুর বাড়িতে একা পেয়ে সবাই তার কাছে টাকা দাবি করে। কিন্তু ত্রিদিব বৈদ্যের সংসারে অভাব-অনটন থাকায় শ্বশুরবাড়ি চাহিদামতো টাকা দিতে চায়নি। তখনই শশুর শিশির বিশ্বাসসহ শাশুড়ি ও তার স্ত্রী বেধড়ক মারধর করে। মারধরের পর মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিল বলে দাবি। ত্রিদিব কে মৃত ভেবে সবাই তাকে ফেলে ঘরে ঢুকে যায়। পরে স্থানীয় যুবকরা দেখতে পেয়ে ক্যানিং থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ত্রিদিবকে উদ্ধার করে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। আজ দুপুরে একটু সুস্থ হলেই ক্যানিং থানায় লিখিত অভিযোগ করেন ওই যুবক। ত্রিদিব বৈদ্যের দাবি বিয়ের দু বছর পর সে জানতে পারে তার স্ত্রীর আগে বিয়ে হয়েছিল। একটা বাচ্চাও আছে। এরপর কিছুদিন সেই সমস্যা নিয়ে সংসারে অশান্তি হয়। ত্রিদেবের স্ত্রী শ্বশুরবাড়ি চলে আসে। শ্বশুরবাড়ি চলে আসার পর থেকেই প্রায় ত্রিদিপকে বিভিন্নভাবে পুলিশের ভয় দেখিয়ে টাকা নিত। গত রাতেও টাকা নেওয়ার জন্য তার স্ত্রী ফোন করে ডাকে। সেই টাকা দিতে না পারায় বেধড়ক মারধর করে। ভারী বস্তু দিয়ে তার মাথায় আঘাত করা হয়। এই ঘটনা ক্যানিং থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনার পর থেকে আহত অবস্থায় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ত্রিদিব বৈদ্য।
চাহিদামতো টাকা না মেলায় জামাইকে মারধরের অভিযোগ
চাহিদামতো টাকা না মেলায় জামাইকে মারধরের অভিযোগ
Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram