নিজস্ব সংবাদদাতা,বারাসাত,২৯ শে জুন: বিরল কোন অস্ত্রপ্রচার নয়,কিন্তু যে কোন জেলা হাসপাতালের ক্ষেত্রে এই ধরনের অস্ত্রপ্রচার একটা চ্যালেঞ্জ৷ আর প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে আসা রুগির বাড়ির কাছে মাত্র নয় বছরের বাচ্চার এই অস্ত্রপ্রচার কোথায় করানো হবে,সেটাই ঠিক করা বড় সমস্যা। বছর নয়ের খাদিজা খাতুন পেটে ব্যাথা নিয়ে বারাসত হাসপাতালে আসেন তার বাবা মা। ইউ এস জি তে ধরা পড়ে খাদিজার পিত্ত থলিতে রয়েছে পাথর। চিকিতসক চমকে ওঠেন।এত অল্প বয়সি বাচ্চার সাধারনত পিত্ত থলিতে পাথর হয় না। হত দরিদ্র পরিবারের বাচ্চার চিকিতসা নিয়ে চিন্তুত হয়ে পড়েন তার বাবা মা। বারাসত হাসপাতালের চিকিতসক বলেন কলকাতায় গিয়ে তারা তল পাবেন না। কিছু একটা ব্যাবস্থা এই হাসপাতালেই করুন।কিন্তু বারাসত হাসপাতালে পেডিয়ট্রািক সার্জারি কোন ব্যাবস্থা নেই। এই অবস্তাতে রেফারেল হাসপাতালে পাঠানোটাই দস্তুর।
কিন্তু বসিরহাট মালতিপুরের বাসিন্দা খাদিজার বাবা মানিক মন্ডল আর্থিক অবস্থা বুঝে বারাসত হাসপাতালের চিকিতসকরা সিদ্ধান্ত নেন প্রথা ভেঙে এই শিশুর অস্ত্রপ্রচার তারা করবেন। সেই মতো গত ১৪ জুলাই এখানেই তাকে ভর্তি করা হয়।গত দুই সপ্তাহ ধরে বিশেষ কিছু পরিক্ষা নিরিক্ষার পর শনিবার সকালে খাদিজার পিত্তথলির সফল অস্ত্রপ্রচার করা হয়।বারাসত হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন অস্ত্রপ্রচার বেশ ঝুকি নিয়েই করা হয়েছে,কারন খাদিজার নিউমোনিয়ায় সহ অপুস্টি জনিত সমস্যা ছিল। চিকিতসক অলোক কুমার মৌলিক বলেন এই ধরনের কেস সচরাচর হয় না।বাচ্চার জিন গত রক্তাল্পতা ছিল। ফলে অস্ত্রপ্রচার ঝুকি ছিল। খাদিজার বাবা মানিক মন্ডল বলেন কলকাতার কোন হাসপাতালে গিয়ে অস্ত্রপ্রচার করানোটা আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। বারাসত হাসপাতালের চিকিতসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।