জার্মান – জার্মানির প্যালিয়েটিভ কেয়ারে নিয়োজিত এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ১৫ জন রোগীকে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। ৪০ বছর বয়সী এই ডাক্তার, যিনি ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই অপরাধ সংঘটিত করেছেন বলে অভিযোগ, অপরাধ গোপন করতে কিছু রোগীর বাড়িতে আগুনও দিয়েছেন।তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ৭৫টি মৃত্যুর ঘটনা পর্যালোচনার পর মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। “এটি চিকিৎসা পেশার প্রতি আস্থার ওপর গভীর আঘাত,” বলেছেন প্রসিকিউটর হান্স ক্রিশ্চিয়ান।
অভিযুক্ত ডাক্তার চেতনানাশক ও পেশী শিথিলকারী ওষুধের মিশ্রণ ব্যবহার করে রোগীদের শ্বাসযন্ত্র অকেজো করে হত্যা করতেন। এই ইনজেকশনের কোনো চিকিৎসাগত প্রয়োজন ছিল না, এবং রোগী বা তাদের পরিবারের সম্মতিও নেওয়া হয়নি। ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে হেফাজতে থাকা এই চিকিৎসকের পরিচয় জার্মানির গোপনীয়তা আইনের কারণে প্রকাশ করা হয়নি। তদন্ত গত বছর চারটি সন্দেহজনক মৃত্যু ও অগ্নিকাণ্ডের পর শুরু হয়।
এই ঘটনা জার্মানির স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় নৈতিকতা ও নজরদারির প্রশ্ন তুলেছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, এটি চিকিৎসকদের ওপর নিয়ন্ত্রণ জোরদার করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে। প্রসিকিউটররা আজীবন পেশাদার নিষেধাজ্ঞার দাবি জানিয়েছেন, তবে অপরাধের উদ্দেশ্য এখনও অস্পষ্ট। তদন্ত অগ্রসর হওয়ায় জনমনে আতঙ্ক ও চিকিৎসা পেশার প্রতি অবিশ্বাস বাড়ছে।