১ জানুয়ারি, ধীরে ধনীরে করোনা ভাইরাসের ছোবল আরও এক কোটিরও বেশি মানুষের শহর উহানে নতুন করে ১৩৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। রাজধানী বেইজিং-এ আক্রান্ত হয়েছে আরো দুজন এবং শেনঝেনে এখনও পর্যন্ত একজন আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে।এনিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০০ জনে। এর মধ্যে তিনজন মারাও গেছেন।কিন্তু যুক্তরাজ্যে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা সরকারি হিসেবের চাইতেও অনেক বেশি। তাদের ধারণা প্রায় ১,৭০০ মানুষ আক্রান্ত হয়েছে এই ভাইরাসের দরুন।
এই ভাইরাসের জেরে চিনবাসীকে তাঁদের ঘর থেকে খুব প্রয়োজন না হলে বাইরে বেরোনোতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।তার জেরে চিনে বন্দি প্রচুর ভারতীয়।সাথে চীনের ইউহান শহরে আটকে পড়েছে ২৫০–৩০০ জন ভারতীয় পড়ু্য়াও। তাঁদের দেশে ফেরানোর তোড়জোড় করছে বিদেশমন্ত্রক। তৈরি এয়ার ইন্ডিয়ার ৪২৩ আসনের জাম্বো বিমান।অপরদিকে দিল্লি, মহারাষ্ট্র, কেরল, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, বিহারের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে অনেকে ভর্তি রয়েছেন। বিভিন্ন বিমানবন্দরে ৩০,০০০ যাত্রীর থার্মাল স্ক্রিনিং হয়েছে।
মহারাষ্ট্রে করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৬ জন, মুম্বাইয়ে প্রায় ৪ জন ও পুনেতে ২ জন চিকিৎসাধীনে। চীন ফেরত লোকজনের তালিকা তৈরি করা হবে, এমনটাই জানিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। করোনা প্রতিরোধে নেপাল সীমান্ত লাগোয়া রাজ্য উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং সিকিমের দিকে মুখ্য সচিবদের নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব প্রীতি সুদান। ওদিকে চীনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম ভারতীয় মহিলা প্রীতি মাহেশ্বরীর শারীরিক অবস্থার এখন কিছুটা উন্নতি হয়েছে। চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন তিনি। মঙ্গলবার এই খবর জানান প্রীতির বোন প্রতিভা মাহেশ্বরী।