হুগলি – হুগলির চুঁচুড়া হাসপাতাল রোড শুক্রবার সকালে তীব্র উত্তেজনা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। সকালের ব্যস্ত সময়ের মাঝে, যখন রাস্তার প্রতিটি স্থানই জনসমাগমে ভরা, তখন এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এক ট্রাফিক পুলিশ কর্মী একটি বাইক আরোহীকে হেলমেট না পরার কারণে দাঁড় করান। অভিযোগ, পুলিশ ওই যুবকের গায়ে হাত তোলেন। এর পর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। যুবকের কয়েকজন সঙ্গী এসে পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং প্রকাশ্যে মারধর শুরু করে। এক পুলিশ কর্মীকে রাস্তায় মারধর করা হয়।
এই ঘটনার ফলে চুঁচুড়া হাসপাতাল রোডে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় এবং যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। কিছু সময়ের মধ্যেই অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়।
যুবকদের অভিযোগ, পুলিশ প্রথমে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে, এমনকি হাত তুলেছে। তাদের দাবি, এই অবস্থার প্রতিবাদেই তাঁরা প্রতিক্রিয়া দেখান। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে পুরোপুরি ভিন্ন দাবি করা হয়েছে।
ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে তা আরও বিতর্কিত হয়ে ওঠে। প্রশ্ন উঠছে, যদি আইন রক্ষাকারী বাহিনীই জনগণের হাতে মার খায়, তাহলে রাস্তায় শৃঙ্খলা কীভাবে বজায় রাখা সম্ভব? আবার যদি পুলিশ নিজেরাই আইন লঙ্ঘন করেন এবং জনতার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন, তবে প্রশাসনের দায়িত্ব কী হবে?
এ ঘটনার পর শহরের ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা নিয়েও সমালোচনা শুরু হয়েছে। হেলমেট না পরার কারণে ছোট একটি বিষয় মুহূর্তেই বড় সংঘর্ষে পরিণত হয়। আর একটাই প্রশ্ন — পুলিশ বা সাধারণ মানুষ, আইন ভাঙলে কী সমাধান হতে পারে, শুধু আইন হাতে তুলে নেওয়া কি সঠিক?
