চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই রাতারাতি ইটের প্রাচীর দিয়ে ওষুধের দোকান ঘিরে নেওয়ার অভিযোগে শুক্রবার রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ হরিশ্চন্দ্রপুরে।। জানা যায়,হরিশ্চন্দ্রপুরের সদরের শহীদ মোড়ের নিকটে ইন্দিরা বাজারে মোহাম্মদ মনসুর রহমান নামে এক ব্যক্তির ভাড়াতে একটি ওষুধের দোকান রয়েছে।দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে তিনি ভাড়াতেই রয়েছেন। প্রতি মাসে তিনি নির্দিষ্ট ভাড়া দেন এবং তার কাছে ভাড়ার চুক্তিপত্র রয়েছে।
কিন্তু কিছু মাস আগে জায়গাটি বিক্রি হয়ে যায়।যাদের জায়গা তারা মনসুর রহমানকে দোকান থেকে উচ্ছেদ করতে চাইলে বিবাদের সূত্রপাত। অভিযোগ গত তিনদিন ধরেই তার দোকানের সামনে বালি, পাথর ইত্যাদি জড়ো করে রাখা হচ্ছিল। ফলে তিনি দোকান খুলতে পারছিলেন না। আর বৃহস্পতিবার রাতের অন্ধকারে তার দোকানের সামনে ইটের প্রাচীর দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। সকালে দোকান খুলতে এসে বিষয়টি নজরে আসে।
এরপর তিনি নাগরমল জৈন এবং আনন্দ জৈনের নামে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। হরিশ্চন্দ্রপুর ব্যবসায়ী সমিতির সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসে। পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়।বিক্ষোভের জেরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে চলে এই বিক্ষোভ। পরবর্তীতে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেওদূত গজমেরর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তুলে দেন। গ্রেফতার করা হয় আনন্দ জৈন কে। যদিও আনন্দ জৈন এর পরিবার সূত্রে খবর দোকানের জায়গাটি তাদের।
আরও পড়ুন – বালুরঘাটের ৬টি পূজো কমিটিকে পুরস্কার প্রদানের ঘোষনা বালুরঘাট থানার
ওষুধ ব্যবসায়ী মনসুর রহমান বলেন,’দীর্ঘ ৪০ বছর ধরে এই ওষুধের দোকানটি করে আসছি। চার শতক জায়গায় চারজন ভাড়াটিয়া আছে। কথা ছিল আমরা প্রত্যেকে নিজেদের জায়গা কিনে নেব। কিন্তু আনন্দ জৈন এখন ঝামেলা করছে। আমার তিন মেয়ে দোকান তুলে দিলে এখন কোথায় যাব। এই জন্য প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি দেবদূত গজমের জানান অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।