চুরির সামগ্রী বিক্রির জন্য খোদ চড় দিল বিজ্ঞাপন

চুরির সামগ্রী বিক্রির জন্য খোদ চড় দিল বিজ্ঞাপন

Facebook
Twitter
LinkedIn
Email
WhatsApp
Print
Telegram

নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ৯ ফেব্রুয়ারি, অভিনব চুরির ছক, আর তার থেকেও অভিনব সেই চুরির সামগ্রী বিক্রির ছক। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারলেন না চোর বাবাজি। অবশেষে সোনারপুর থানার পুলিশের তৎপরতায় হাতে নাতে ধরা পরে যায় মূল অভিযুক্ত অর্ণব ভৌমিক নামে ঐ যুবক। ধরা পরে তার সহযোগী আব্দুল রফিক। উদ্ধার হয়েছে চুরি যাওয়া দামী ক্যামেরা ও অন্যান্য জিনিষপত্র।

গত ৪ঠা ফেব্রুয়ারি সোনারপুরের একটি বিয়ে বাড়িতে সহযোগীদের নিয়ে ফটোগ্রাফির কাজ করতে এসেছিলেন কলকাতার বেলেঘাটার বাসিন্দা সৌরিশ বাসু। বিয়ে বাড়ির কাজ সমাপ্ত হলে ক্যামেরা ও তার আনুষঙ্গিক জিনিষপত্র গুছিয়ে রেখে সকলে মিলে রাতের খাবার খেতে যান। অভিযোগ, সেই সুযোগে কে বা কারা তাদের দুটি ক্যামেরার ব্যাগ চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। সারা রাত বিয়ে বাড়ির চারিদিকে খোঁজ করে ও মেলেনি সেগুলি। ক্যামেরা ও লেন্স মিলিয়ে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার জিনিষ খোয়া যায় বলে অভিযোগ। অবশেষে সৌরিশ এ বিষয়ে সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে ঘটনার তদন্তে নামে সোনারপুর থানার পুলিশ। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানোর পাশাপাশি বিখ্যাত পুরাতন সামগ্রী ক্রয়, বিক্রয়কারী ডিজিটাল সংস্থা ওএলএক্স’র বিজ্ঞাপনের ওপর ও নজরদারি চালাতে থাকে পুলিশ। দিন দুয়েক বাদে সেই ওএলএক্সেই চুরি যাওয়া ক্যামেরার বিজ্ঞাপন চোখে পরে তদন্তকারী অফিসারদের। বিজ্ঞাপনের সুত্র ধরে শনিবার গড়িয়ার শহীদ ক্ষুদিরাম মেট্রো স্টেশানের কাছে গিয়ে বিজ্ঞাপনদাতা আব্দুল রফিক নামে এক ব্যক্তিকে ধরে ফেলে পুলিশ। আব্দুল রফিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেই খোঁজ মেলে গড়িয়া কন্দর্পপুরের বাসিন্দা অর্ণব ভৌমিক নামে মূল অভিযুক্তের। উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া ক্যামেরা ও লেন্স। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে অর্ণবের বিরুদ্ধে আগেও বিয়ে বাড়ি থেকে দামী সামগ্রী চুরির অভিযোগ রয়েছে। তবে এবার চুরির পর অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সেই সামগ্রী বিক্রি করতে গিয়েই দ্রুত পুলিশের হাতে ধরা পরে গেল অভিযুক্ত। ধৃত দুজনকে রবিবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হবে।

RECOMMENDED FOR YOU.....

Scroll to Top