আলিপুরদুয়ার – একটি বাড়িতে চুরি করতে গিয়ে মহিলার শ্লীলতাহানি, পরনে পোশাক ও অন্তর্বাস ছিঁড়ে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। মহিলার চিৎকার শুনে অভিযুক্ত যুবককে ধরে বেধড়ক মারধর করলেন স্থানীয়রা। এমনি এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল আলিপুরদুয়ার শহরের ভাটিখানা এলাকায়।জানা গিয়েছে, গতকাল রাত ৩টে নাগাদ আলিপুরদুয়ার পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভাটিখানা এলাকায় বছর দেড়ের শিশুকে নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন এক গৃহবধূ। সেই সময় তাঁর স্বামী পেশায় ট্রাকচালক সহায়ক কাজের সুবাদে বাইরে ছিলেন। আচমকা ঘুমের ঘোরে ওই গৃহবধূ তাঁর শরীরে স্পর্শ অনুভব করেন। তাতেই গৃহবধূর ঘুম ভেঙ্গে যায়। চোখ খুলতেই তিনি দেখতে পান ধারালো অস্ত্র নিয়ে এক অজ্ঞাত পরিচয় যুবক দাঁড়িয়ে রয়েছেন। তখনই ওই যুবক মহিলার মুখ চেপে ধরে।এরপর ওই যুবক মহিলার পরনের কাপড় ও অন্তর্বাস ছিঁড়ে ফেলে। তাঁকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। সেই সময় মহিলার চিৎকার শুনে পাশের বাড়ির লোকেরা উঠে আসলে ওই যুবক মহিলার ঘর থেকে পালানোর চেষ্টা করে। সেই সময় প্রতিবেশীরা তাঁকে ধরে ফেলে। এরপর যুবককে জুতোর মালা পরিয়ে বেধড়ক মারধর করেন এলাকার বাসিন্দারা। শুক্রবার সকালে খবর পেয়ে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। জানা গিয়েছে, মহিলার বাড়ি থেকে নগদ ২ হাজার টাকা ও মোবাইল চুরি করে অভিযুক্ত। আলিপুরদুয়ার থানায় অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে চুরি ও ধর্ষণের চেষ্টার লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে অভিযুক্ত যুবককে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তদন্তে নয়া মোড় উঠে আসে পুলিশের কাছে। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের নাম সঞ্জয় দাস। অসমের গুয়াহাটি এলাকায় বাসিন্দা। দীর্ঘ দিন ধরে আলিপুরদুয়ারের এক যুবকের সঙ্গে মিলিতভাবে এলাকায় বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। এই সপ্তাহেই আলিপুরদুয়ার জংশন এলাকায় দু’টি বাড়িতে অস্বাভাবিক চুরির ঘটনা ঘটে। চুরি যায় একাধিক মোবাইল ফোন এবং সোনার আংটি-সহ নগদ টাকা। যে বাড়িতে চুরি হয়েছিল সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ অভিযুক্ত যুবককে চিহ্নিত করেছে। এছাড়াও আলিপুরদুয়ার শহর থেকে এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের মোবাইল ও চুরি করেছে ওই যুবক। এদিন পুলিশি জেরায় সমস্ত অভিযোগ স্বীকার করে নেয় যুবক। এদিন শহরের বুকে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।
