চুল পড়ে যাচ্ছে? ভরসা রাখুন এসব আয়ুর্বেদিক উপায়ে, এক মাসেই চুল পড়া বন্ধ হবে, চুল পড়া একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। শুধু মেয়েরাই নয় ছেলেদেরও সমানভাবে এই সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। অনেকেই এই চুল পড়া রোধ করতে নানা রূপচর্চা করেন বা বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেন। তবে এতেও মাঝেমাঝে কাজের কাজ কিছুই হয় না।
আয়ুর্বেদ চুল পড়ার বিভিন্ন কারণ সম্পর্কে বলা আছে। যেমন- জেনেটিক সমস্যা, খাবারে অতিরিক্ত লবণ, মশলাদার খাবার যা শরীরের পিত্তদোষ বাড়ায়, হরমোনের তারতম্য, খারাপ জীবনযাপন, মানসিক চাপ, ঘুম ঠিকমতো না হওয়া, ধুলোবালি ইত্যাদি। এছাড়া দূষণও চুল পড়ার অন্যতম কারণ। এই অকালে চুল পড়ার সমস্যা রোধে আয়ুর্বেদে অনেক প্রতিকারের কথা বলা হয়েছে, যা মেনে চললে এক মাসেই চুল পড়া বন্ধ হবে। এক্ষেত্রে আপনাকে সাহায্য করতে পারে তাহলে আমলা, দেশি ঘি ও মিছরি। আমলা গুঁড়োর সঙ্গে ঘি ও মিছরি মিশিয়ে খান উপকার পাবেন।
আমলা-মিশ্রি ও ঘি একসঙ্গে খাওয়ার উপকারিতা-
এই ভেষজটি অ্যাফ্রোডিসিয়াক এবং প্রকৃতিতে শক্তিদায়ক। যা পিত্ত দোষের ভারসাম্য বজায় রাখে । এই ভেষজটি শরীরে কাফা দোষের ভারসাম্য বজায় রাখে। এটি তিন উপাদান একসঙ্গে খেলে শরীরে তিনটি দোষ (বাত, পিত্ত ও কফ) থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
চুল বৃদ্ধির জন্য আয়ুর্বেদিক প্রতিকার
আয়ুর্বেদিক তেল দিয়ে নিয়মিত আপনার মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুন। আপনার মাথার ত্বক বেশিক্ষণ শুকিয়ে রাখবেন না। আপনার ডায়েটে চুলের বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত খাবারগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন। দিনে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমোন। ঘুমনোর আগে পায়ের তলায় ম্যাসাজ করুন। প্রতিদিন শির্ষাসন এবং সর্বাঙ্গাসন করুন। এতে মাথায় রক্ত প্রবাহ ভাল হয় ফলে সুস্থ থাকে শরীর।
আরো পড়ুন – জেলে গিয়ে ইমরান খানকে জেরা গোয়েন্দাদের
চুল পড়া রোধে এই আয়ুর্বেদিক খাদ্যের অবদান-
চুলের বৃদ্ধি এবং চুলের স্বাস্থ্য সরাসরি পুষ্টির সঙ্গে যুক্ত। তাই স্বাস্থ্যকর, সুষম খাদ্য গ্রহণ করা জরুরি। তাই ডায়েটে ভিটামিন ও প্রোটিন জাতীয় খাবার অন্তর্ভুক্ত করা উচিত।
মুগ ডাল, আমলা,শসা,বাটারমিল্ক, বাদাম, আখরোট, চিনাবাদাম, তিল, জিরা,নারকেল,ত্রিফলা, মেথি বীজ, ডালিম, মৌরি বীজ, শাক এবং শাকসবজি,ডিম ভিটামিন বি ১২-এর অন্যতম প্রধান উৎস যা খেলে চুল পড়ার সমস্যা রোধ হবে।