নদীয়া জেলা জুড়ে ছট পুজোর প্রস্তুতি চলছে জোর কদমে। ছট পুজোর প্রধান আরাধ্য দেবতা হলো সূর্য। গঙ্গার ঘাটে আস্ত ফল কুলো ডালায় নিয়ে যাওয়া দিনই শুধু ছট পুজো নয়। আজ থেকেই শুরু …সারাদিন উপোস থাকার পর ছোলার ডালের সাথে লাউ দিয়ে ভাত খাওয়ার প্রচলন আজ।
আগামীকাল মিষ্টি ভাত অর্থাৎ পায়েস এবং আটার রুটি। এবং পরশুদিন আটার তৈরি ঠেকুয়া বিশেষ ধরনের মিষ্টান্ন জাতীয় খাবার হল প্রধান প্রসাদ ছট পূজার। তবে আগামীকালকে গভীর নিশুতি রাতে নিস্তব্ধতার মধ্যে পরিবারের প্রধান মহিলা যিনি উপোস করে থাকেন তিনি খেতে গিয়ে যদি সামান্য শব্দও কানে আসে তাহলে খাওয়া জুটবে না পরিবারের অন্য সকল সদস্যদের।
পরশুদিন বিকালে সূর্য ডোবার আগে প্রথমবার আস্ত কলা ডাব নানা বিধ ফলমূল ঘাটে গিয়ে পূজা দিয়ে আসতে হয়, পরের দিন সূর্যদেব পাটে ওঠার আগে একইভাবে পুজো দিয়ে সমাপ্ত হয় ছট পুজো প্রক্রিয়া। বিগত চার দিন ধরে নিরামিষ খাবার পর অনেকে ঐদিন আঁশ মুক্ত হওয়ার কারণে মাছ মাংস খান।
মূলত হিন্দিভাষী এ রাজ্যবাসী বিহার ঝাড়খন্ড উত্তর প্রদেশ নানা দেশ থেকে আগত বাসিন্দাদের প্রধান উৎসব এই ছট পুজো। এই উপলক্ষে নতুন বস্ত্র কেনা, ঘরে রং করা সাজানো-গোছানো আলপনা দেওয়া নতুন জামা কাপড় কেনা এবং নানাবিধ অখাদ্য খাবারের মাধ্যমে আনন্দ উপভোগ করেন তারা। বাংলায় দীর্ঘদিন থাকার সুবাদে কালীপুজো বিপত্তারিণী রাস নানা পূজা করলেও ছট পুজো তাদের নিজস্ব।
আর ও পড়ুন অন্ধ প্রেমিক পেয়ে খুশি এই তরুণী! কেন জানেন?
ছট পূজো উপলক্ষে ইতিমধ্যে রানাঘাট কৃষ্ণনগর শান্তিপুর নানা স্থানে আড়ম্বরতা লক্ষ্য করা যায় ।আজ রানাঘাট পৌরসভার থেকে বিভিন্ন নদীর ঘাট পর্যবেক্ষণ ও পরিষ্কারের কাজ চলছে ।গত বছর কোরোনা অবহওয়ে পুজোর কোনো রকমে হয়েছিল ।এই বছর সংক্রমণ কম হলেও বিভিন্ন বিধি নিষেধ করা হয়েছে ।
ডিজে কিংবা শব্দ বাজি ওপর কড়াকড়ি করা হয়েছে ।দুরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবকিছু মেনে নিতে পারলেও গঙ্গার ঘাটে যাওয়ার সময় একদল বাজনা এবং একটি সাউন্ড সিস্টেম ছাড়া আনন্দ উপভোগ সম্ভব না বলেই দুশ্চিন্তায় ভুগছেন তারা।