ছট পুজোয় নামবে প্রচুর ভক্ত, প্রস্তুত রায়গঞ্জ পৌরসভা। দুর্গা পুজো, কালী পুজো শেষ। এবার সামনেই ছট পুজো। আগামী ৩০শে অক্টোবর দেশ জুড়ে পালিত হবে ছট পুজো। ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত যাত্রী পরিষেবা সামাল দিতে রেলমন্ত্রক চালু করেছে মনিহারি ঘাট পর্যন্ত অতিরিক্ত রেল পরিষেবা।
এরকম পরিস্থিতিতে, এদিন রায়গঞ্জ পাথর মনি ঘাট থেকে বন্দর শ্মশানঘাট, খরমুজা ঘাট, কাঞ্চনপল্লী ঘাট সহ রায়গঞ্জ পৌরসভার অধীনে নদীঘাট গুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে তোলার কাজ শুরু করে দিয়েছে রায়গঞ্জ পৌরসভার পৌর কর্মীরা। জানা গেছে, মূলত উত্তর ভারতের হিন্দু অধিবাসীদের মধ্যে পরিবারের কল্যাণে এই পুজো পালিত হয়। রায়গঞ্জ শহরের বাঙালি ও অবাঙালি সবাই মেতে ওঠেন এই ছট পুজোয়। এদিন রায়গঞ্জ কুলিক নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা গেল, ছট পূণ্যার্থীরা ইতিমধ্যেই ঘাট দখল করে ফেলেছেন ।
আগামী ৩০ অক্টোবর বিকেলে এবং ১ নভেম্বর সকালে ছট পুজো। এর মধ্যেই ঘাটের পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উদ্যোগ নিয়েছেন রায়গঞ্জ পৌরসভার মুখ্য পৌর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস, উপ প্রশাসক অরিন্দম সরকার, প্রশাসক মন্ডলীর সদস্য সাধন বর্মন। এলাকায় নেমে কাজ তদারকি করছেন পৌরসভার কো-অর্ডিনেটর তপন দাস। তপনবাবু বলেন, ‘নদীঘাট পরিষ্কার করার কাজ শুরু হয়েছে। অনেকে ঘাট দখল হয়ে গিয়েছে ছট পুজোর জন্য।
আরও পড়ুন – চোপড়ার শীতল গছে বন কালি পূজা উপলক্ষে জমে উঠেছে গানের আসর
ঘাট পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে তোলা হলেও কালী পুজোর প্রতিমা বিসর্জন দিতে এসে ঘাট যাতে অপরিচ্ছন্ন করে তোলা না হয় সেজন্য নজরদারি আমরা করব। তিনি জানান, ঘাটগুলিতে থাকছে মহিলা ও পুরুষ পূর্ণ্যার্থীদের পোশাক পরিবর্তনের জন্য থাকছে দুটি অস্থায়ী ছাউনি। পানীয় জল, শৌচাগার ও প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করবে পুরসভা। আলোর ব্যবস্থাও থাকছে।’ সব মিলিয়ে, করোনা ভীতি কাটিয়ে এবার ছট পুজোয় প্রচুর জনপ্লাবন হতে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।