ছাগলের টোপে বনকর্মীদের পাতা খাঁচায় বন্দী হল বাঘ. বুধবার ভোর ৪ টা ৫০ মিনিটে বনকর্মীদের পাতা খাঁচায় ছাগলের টোপে বন্দী হল পূর্ণ বয়স্ক বাঘ।বাঘটিকে বনকর্মীরা জল পথে লঞ্চে করে ঝড়খালি রেসকেউ সেন্টারে নিয়ে আসে।সেখানেই চলছে বাঘের পরীক্ষা নিরীক্ষা।চিকিৎসকরা বাঘটি কে পর্যবেক্ষণে রেখেছে।এদিকে গোসাবা সত্যনারায়ণপুর নদীর চরে বাঘের পায়ের ছাপ দেখে স্থানীয় মানুষজন।খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বনকমীর্রা।
পায়ের ছাপ দেখে বনকর্মীরা বুঝতে পারে খাঁচায় বন্দী হওয়া বাঘের পায়ের ছাপ।তবুও বিষয়টি সজাগ নজরে রেখেছে বনকর্মীরা।গত ১০ জানুয়ারি রাতে ক্যানিং মহকুমা সুন্দরবনের গোসাবা ব্লকের বালির আমলামেথি মথুরাখন্ড এলাকায় বাঘ ঢুকে পড়ে বিদ্যাধরী নদীতে সাঁতার কেটে।পূর্ণবয়স্ক বাঘটি লোকালয়ে ঢোকার পর গোয়ালের তিনটি ছাগল,একটি গরু মারে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মথুরাখন্ড এলাকার বাসিন্দা হাবুল দাসের বাড়ি গোয়াল ঘর থেকে গরু এবং ছাগল মেরে বাঘটি লোকালয় সংলগ্ন জঙ্গলে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে।যাওয়া আসার সময় মথুরাখন্ড নদীর চরে দেখা যায় বাঘের পায়ের ছাপ।আর এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বন দফতরের বনকর্মীরা এবং পুলিশ বাহিনী।এদিন সকাল থেকে চলছে পুলিশি মাইকিং।পাশাপাশি জঙ্গল টি নেট জাল দিয়ে ঘিরে দেয় বনকর্মীরা এবং জঙ্গলে মধ্যে পাতা ২ টি খাঁচা।খাঁচার মধ্যে দেওয়া হয়েছে ছাগলের টোপ।
আর ও পড়ুন মাত্র দুই মিনিটের ঘুর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেলো এই গ্রাম
আর ছাগলের টোপ খাঁচায় বন্দী হয় বাঘটি।এ বিষয়ে বন দফতর জানান বিদ্যাধরী নদী সাঁতর কেটে জঙ্গলের একটি বাঘ ঢুকে পড়ে রাতের অন্ধকারে।সেখানে এক ব্যক্তির গোয়াল ঘরে গরু ও ছাগলের শিকার করে বাঘ।এরপর বাঘটি মথুরাখন্ডের লোকালয়ে লাগোয়া একটি জঙ্গলে ঢুকে থাকে।
বাঘটিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য জঙ্গলের চারিদিকে নেট জাল দিয়ে ঘিরে দেয় বনকর্মীরা এবং পাতা হয় ২ টি খাঁচা ছাগলের টোপ দিয়ে।ভোর ৪ টা ৫০ মিনিটে ছাগলের টোপে খাঁচায় বন্দী হয় বাঘটি।বাঘটি ঝড়খালি রেসকিউ সেন্টার নিয়ে যাওয়া হয়েছে।সেখানেই বাঘের পরীক্ষা নিরীক্ষা করছে চিকিৎসকরা।বাঘটিকে রাখা হয়েছে পর্যবেক্ষণে।তবে বাঘটি সুস্থ আছে।