ছাটাইয়ের আগেই টুইটার ছাড়ছেন গুরুত্বপূর্ণ কর্মচারীরা। গতকাল বলেছিলাম ইলন মাস্ক কি পাগল হয়ে গেছেন। আজ কথাটা সত্য হল। তিনি ভেবেছিলেল কেউ চাকরিছাড়বেষনা। না তাড়ালে। এখন দেখা যাচ্ছে প্রায় সকলেই ছেড়ে দিয়ে চলে যাচ্ছেন। এমন সব গুরুত্বপূর্ণ লোক চলে গেলেন যে তাদের অভাবে মুখ থুবড়ে পড়বেন। তিনি যখন মিটিং করছিলেন। সেখানে কিছু কর্মী সশরীরে হাজির ছিলেন। বাকিরা ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন।
কাঁটায় কাঁটায় ৫টা বাজতেই দেখা গেল চেয়ার ছেড়ে উঠে যাচ্ছেন একের পর এক কর্মী। বস তখনও কথা বলছিলেন। কিন্তু তার পরোয়া করতে দেখা গেল না কাউকে। বরং ভিডিয়ো কনফারেন্সের পর্দাতেও একে একে নিভতে শুরু করল আলো। মিটিংয়ের মাঝখানেই লগ আউট করতে শুরু করলেন কর্মীরা। ঘটনাস্থল টুইটারের অফিস। আর যখন এই ঘটনা ঘটছে, তখন কর্মীদের সঙ্গে মিটিং করছিলেন টুইটারের নতুন মালিক ইলন মাস্ক। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত কর্মীদের চরম সময় দিয়েছিলেন ইলন।
কাজের এক দফা নতুন শর্ত আরোপ করে বলেছিলেন, যদি তাঁরা আরও বেশি পরিশ্রম করার এই নতুন শর্ত মেনে নিতে না পারেন, তবে যেন টুইটার ছেড়ে চলে যান। দেখা গেল নতুন ‘বস’-এর অধীনে থেকে কাজ করার বদলে তারা চাকরি ছেড়ে দেওয়ারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনকি, তার জন্য ইলনের মুখের উপর মিটিং ছেড়ে বেরিয়ে যেতেও দ্বিধা করেননি। তবে শোনা যাচ্ছে, টুইটারের কর্মীরা যে এ ভাবে চাকরি ছেড়ে দেবেন তা অনুমান করতে পারেননি ইলনও। ইলন কর্মীদের বলেছিলেন, যাঁরা চাকরি ছেড়ে যেতে চান, তাঁদের টুইটার কোনও বাধা দেবে না।
আরও পড়ুন – বনের বানরের গোয়েন্দাগিরি,আটক পাকিস্তানে
বরং ধরে নেবে তাঁরা টুইটারের ভাল চাইছেন বলেই চাকরি ছাড়ছেন। টুইটার তাঁদের তিন মাসের বেতনও দেবে বলে জানিয়েছিলেন মাস্ক। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা গেল মাস্ক কথা রাখতে পারছেন না। কারণ বৃহস্পতিবার টুইটারের যে সমস্ত কর্মী টুইটার ছাড়লেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই টুইটারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। এতটাই গুরুত্বপূর্ণ, যে সেই দায়িত্ব দক্ষ ভাবে সামলানোর দ্বিতীয় ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। টুইটার সূত্রে খবর, এই সমস্ত কর্মীকে আলাদা করে ডেকে বোঝানোর চেষ্টা করছে ইলনের টিম। টুইটার ছাড়ছেন