ছাত্র আন্দোলনের উপর পুলিশের হামলার প্রতিবাদে পথসভা,রামপুরহাটে। গত ১৬ ই আগস্ট কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি কলেজে ফি বৃদ্ধি বিরোধী আন্দোলনে শাসক দলের মদতে পুলিশ প্রশাসন নৃশংসভাবে আক্রমণ নামিয়ে আনে কলেজ ছাত্র সুজয় বর্মনের উপর। গলায় চাপ দেওয়ায় প্রায় ৪ ঘন্টা অজ্ঞান হয়ে পড়ে, আশঙ্কাজনক অবস্থায় জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
উক্ত ঘটনায় দোষী পুলিশদের শাস্তির দাবীতে ১৭ আগষ্ট কোচবিহার এসপি অফিসের সামনে বিক্ষোভের সময় পুনরায় নৃশংসভাবে পুলিশী আক্রমণ করে বলে অভিযোগ সংগঠনের। সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার বীরভূম জেলা এস ইউ সি আই কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষ থেকে রামপুরহাট শহরের ভাড়শালা মোড়ে অনুষ্ঠিত পথ সভায় কথা গুলি বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন বক্তারা।
আরও অভিযোগ করেন যে, পুলিশ অতর্কিতে নিরস্ত্র ছাত্রছাত্রী ও কর্মীদের উপর চড়াও হয়। ছাত্রছাত্রীদের পোষাক ধরে টানাটানি, অশ্লীল গালিগালাজ, ও ব্যাপকভাবে লাঠিচার্জ করে। নিস্তার পায়নি মহিলা কর্মীরাও এমনকি পুরুষ পুলিশের দ্বারা আক্রান্ত হতে হয় মহিলা কর্মীদের, টেনে ছিঁচড়ে গাড়িতে তুলে পুলিশ।সেখানে দুই ছাত্র সুনির্মল অধিকারী ও দেবাশিস অধিকারী পুলিশের ব্যাপক মারধরে দুইজনই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। থানায় বার বার বলার পর পুলিশ বাধ্য হয়ে তাদের কোচবিহার এম জে এন মেডিকেল কলেজে পাঠায়, ডাক্তার গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থা বুঝে ভর্তি রেখে চিকিৎসা শুরু করেন বলে দলের পক্ষে অভিযোগ তোলা হয়।
আরও পড়ুন – চরম উত্তেজনা ক্ষীরপাই পৌরসভার ৬ নাম্বার ওয়ার্ডে
১৩ জন ছাত্র ছাত্রীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, নারীদের উপর নিগ্রহ সহ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে এবং কোর্টে তোলার পর ১০ দিন জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। এদিন পথসভা থেকে দিলীপ ধীবর বলেন “রাজ্যের সকল শুভবুদ্ধিসম্পন্ন গণতন্ত্রপ্রিয় নাগরিকদের কাছে আবেদন পুলিশের এই ন্যক্কারজনক, পৈশাচিক আক্রমণ এবং আন্দোলনরত ছাত্র ছাত্রীদের মিথ্যা মামলায় জামিন অযোগ্য ধারায় কেস দেওয়ার প্রতিবাদে সোচ্চার হোন। এছাড়াও এদিন পথ সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নেত্রী ফরিদা ইয়াসমিন, কোয়েল রায় প্রমুখ।